শিরোনাম
মনপুরা কলাতলী শাখা সিডিপিএস ভোলা জেলা চর উন্নয়ন বসতি প্রকল্প বিনামূল্যে গবাদি পশুর ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয় বরগুনায জমি নিয়ে বিরোধের জন্য মামলার বাদির মামার উপরে হামলা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মহাসড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রমজানে এতেকাফের ফজিলত অসহায়-বিপদগ্রস্তদের পাশে ‘হাজীপুর সোসাইটি কুলাউড়া’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করছেন হবিগঞ্জের ‘শাওন’ কুমিল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলার বাজার জটি গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পঞ্চদশ সমাজ কল্যাণ সংস্হার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ১৭ রামাদ্বান ঐতিহাসিক বদর দিবস
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ছুটির ক্ষুধা

Coder Boss / ৩৩৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১ আগস্ট, ২০২০

….এম শাহাদাত হোসেন

রাগে বাড়িতে চলে আসলাম।সিসি আনি নাই।
চাকরিকে সুটিয়ে লাল করে চলে আসলাম।
বাহ!বাড়িতে খুশির আমেজ।বাড়ির ছোট ছেলে বলে কথা।আমাকে দেখে সবাই বেশ খুশি।কিরে বাপ না বলে যে চলে আসলে?আম্মা বল্লেন।আমি কিছু বলি নাই।

আমি হাসি খুশিই আছি।সিসি নিই নাই,পালিয়ে এসেছি এগুলো আমাকে একদম ঘামাতে পারে নাই।যে ছেলে একদিনও বাড়ির বাহিরে থাকত না সে আজ ছয় মাস এর বেশি হয়ে গেল কিভাবে থাকে?আর মন বসে নাহ!দিনদিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছিলাম। চলে আসলাম কেইপিযেড অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে।স্যার জানেন না।আমার ফোন বন্ধ করে দিয়েছি।প্রথম দিকে আব্বা আম্মার মুখে হাসি দেখলেও পরে ফ্যাকাসে দেখাচ্ছিল, জানতে পারলাম আমাদের থানা থেকে ফোন করেছিল আব্বার কাছে।

একটি নতুন কুঁড়ি বের হওয়ার পরে পানি বিহীন পিঁপাসায় কাতর অবস্থায়ও চিন্তা করতে হয়,আমাকে টিকে থাকতে হবে। আমাকে বড় হতে হবে। আমার চেয়ে বেশি তৃষর্নাত পথিক কে ছায়া দিয়ে তাদের ক্লান্তি দূর করতে হবে। ক্ষুধার্ত কে ফল দিতে হবে।আচ্ছা আমি হার মানলে কি হবে?

ট্রেনিং সেন্টারে তিন মাস থাকলাম।খুবই কষ্ট করে। নিশ্চিত ছিলাম তিন মাস পরে ছুটি আছে।প্রিয়জনের মুখ দেখতে পারব।কিন্তু এই করোনা কালীন সময়ে ছুটি তো গোল্লায় গেছে। কবে দুনিয়া সুস্থ হবে, কবে প্রিয় জনের মুখ দেখে আত্মা শান্তু করব।প্রিয় জনের মুখ না দেখে,পাশাপাশি বসে কথা না বলতে পেরে কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি।
ঠোঁটের আগায় লেগে থাকা হাসিটা যেন ক্ষীন হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে,বিলুপ্ত হচ্ছে।

এই ভাবনা থেকেই পালিয়ে আসি।
আমার না শুধু সকল পুলিশ সদস্যদেরও এই দুঃখ আছে বটে।

বাড়ির দক্ষিন পাশে গেলাম। নিজ হাতে লাগানো ফুলের বাগানের মনোমুগ্ধকর ফুলের ঘ্রাণ বাড়িময়। বাহ!।কিন্তু আমি কি সেটার সুবাসের অংশে থাকতে পারি?

গাড়ির পিপিপ পিপিপ শব্দে ঘুম ভাঙল।সকালের নাস্তা এসেছে।পুলিশ লাইন্স থেকে এই অস্থায়ী নতুন ক্যাম্পে খাবার পাঠানো হয়।ফজরের নামাজ পরে বালিশে মাথা লাগাতেই কবে যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম মনে নাই।
লিখাঃ১০/০৬/২০
চট্টগ্রাম KEPZ camp


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন