শিরোনাম
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করছেন হবিগঞ্জের ‘শাওন’ কুমিল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলার বাজার জটি গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পঞ্চদশ সমাজ কল্যাণ সংস্হার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ১৭ রামাদ্বান ঐতিহাসিক বদর দিবস মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন তাড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন ঘাটাইলে গণহত্যা দিবস পালিত বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বসতবাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন স্বাধীনতা দিবসে বীর শহিদদের প্রতি পুনাকের শ্রদ্ধাঞ্জলি
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কেশবপুরে হলুদ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা

Coder Boss / ২৫৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০

 

যশোর জেলা প্রতিনিধি:

কেশবপুর উপজেলায় চলতি বছর হলুদের ব্যাপক চাষ হয়েছে। হলুদ একটি মশলা জাতীয় খাদ্য দ্রব্য। হলুদের বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষদের ভেতর এ মশলা জাতীয় ফসল চাষে আগ্রহ বেড়েছে। প্রায় সব ধরনের রান্না করা খাবার তৈরিতে এ উপকরণটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। আর হলুদের চাহিদা ও বাজার দর ভালো হওয়ার কারণে বেশি করে হলুদের আবাদ করছেন কৃষকেরা। হলুদ আবাদ সাধারণত ৯ মাস ব্যাপি হয়ে থাকে আর বিঘা প্রতি কাঁচা হলুদ পাওয়া যায় প্রায় ১২০ থেকে ১২৫ মণ।

হলুদে তেমন রোগ বালাই নেই বলে কৃষকদের তেমন ঝামেলা পোহাতে হয়না। তবে সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করলে এর ফলন ভালো পাওয়া যায়। বাজার দর বেশি হওয়ায় চলতি বছর কেশবপুরে হলুদের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা।
প্রতি বিঘা জমিতে হলুদ চাষের জন্য তাঁদের খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। গত বছর প্রকার ভেদে ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত প্রতি মণ হলুদ বাজারে বিক্রি হয়েছে। সেই তুলনায় এ বছর হলুদের বাজার দর আরও বেশি হবে বলে ধারণা করছেন কৃষকেরা। সে কারণে তাঁরা হলুদ বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৬০০ বিঘা জমিতে হলুদের চাষ হয়েছে। জলাবদ্ধতামুক্ত উঁচু এলাকা হলুদ চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এবং অন্যান্য বছরের তুলনায় হলুদের দাম বেশি হওয়ায় উপজেলার কাবিলপুর, হাসানপুর, বরনডালি, মৃর্জানগর, চাঁদড়া, বড়েঙ্গা, মঙ্গলকোট, মজিদপুর, দোরমুটিয়া ও সাতবাড়িয়াসহ অন্যান্য গ্রামের কৃষকেরাও ব্যাপকভাবে হলুদের আবাদ করেছেন।

ভোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মহির উদ্দিন জানান, তিনি দোরমুটিয়া গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তির ১ বিঘা ১৫ কাঠা জমি বাৎসরিক কাঠা প্রতি ১ হাজার টাকা দরে হারি দিয়ে হলুদ আবাদ করেছেন। তার হলুদ আবাদে প্রতি কাঠায় ৭২০ টাকা বীজ, সার ও ঔষধ বাবদ ২০০ টাকা এবং শ্রমিক বাবদ ১২০০ টাকা খরচ হয়েছে। গড় মিলে তার এক বিঘা জমিতে জমির হারিরসহ প্রায় ৬২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আশা করছেন কাঠা প্রতি ৫ থেকে ৬ মণ হলুদ পাবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি বিঘা প্রতি ১০০ মণ থেকে ১২০ মণ হলুদ উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন। কাঁচা হলুদের বাজার দর গত বছর প্রকার ভেদে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা বিক্রি হয়ে ছিল। এ বছর বাজার দর যদি গত বছরেরটাও থাকে তাহলে তিনি বিঘা প্রতি প্রায় ৪০ হাজার টাকা লাভবান হবেন। তবে হলুদের পচন রোগ দেখা দিলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।

মজিদপুর গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, এই সময় হলুদে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সুষম মাত্রায় ঔষধ ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে সেটা নিরাময় করা সম্ভব।

দোরমুটিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, হলুদ আবাদে খরচ অন্য ফসলের তুলনায় কম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদ চাষ করে লোকসান গুনতে হয়না। ফলে মুনাফা ভালো হয়। এমন কথাই জানালেন উপজেলার অন্যান্য কৃষকেরাও।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, কেশবপুরের মাটি হলুদ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। হলুদে তেমন কোন ধরনের রোগবালাই নেই বলেই চলে। হলুদ আবাদ সাধারণত ৯ মাস ব্যাপি হয়ে থাকে। এ উপজেলার কৃষকরা সাধারণত মাখালবাড়ি, ডিমলা ও স্থানীয় জাতের হলুদের আবাদ বেশি করে। সুন্দর ভাবে পরিচর্যা করলে হলুদ বিঘা প্রতি ১২৫ মণ উৎপাদন হয়। এ বছর হলুদের আবাদ হয়েছে ৬০০ বিঘা, আর গত বছর আবাদ হয়েছিল ৪৫০ বিঘা। যা গত বছরের তুলনায় ১৫০ বিঘা বেশি। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সবসময় সহযোগিতা, পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আগামীতে কৃষকের মশলা জাতীয় ফসল চাষের আগ্রহ বাড়াতে কৃষি বিভাগ কাজ করছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন