রাজা মিয়া,,সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়ন সহ বৃহত্তর ওসমানী নগরের বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এখন পানি সংকটে ভুগছেন। গভীরতর গভীরে ডিপ টিউবওয়েল কিংবা মোটর বসিয়ে ও পানির সন্ধান পাচ্ছেন না।
উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদের পাশেই ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পশ্চিমে কুরুয়া গোডাউন নামক স্হানে ব্রিটানিয়া ওয়াটার কোম্পানি লিমিটেড অবস্থিত।
জানা যায় ২০১৪ সালে শুরুতে ঐ কোম্পানি একটি বিস্কুট কোম্পানি খোলার কথা বলে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাই মশাহিদ’র মাধ্যমে ব্যবসায়িক পত্র নিয়ে তারা দীর্ঘদিন যাবত পানি কোম্পানি করে স্হায়ী ভাবে পানি উত্তোলন করে বাজারজাত করে আসছে।
এছাড়া এই জায়গা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টন লিটার পানি আমদানি করে গভীর নলকূপের মাধ্যমে সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হোটেল রেস্তোরাঁয় বিক্রি করে। এতে স্হানীয় লোকজন লেয়ার ভালো না পাওয়ায় বার বার নলকূপ স্হাপন করে ও পানি সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
এবিষয়ে কথা হলে এলাকাবাসী পানি সংকটের জন্য একমাত্র ব্রিটানিয়া কোম্পানিকে দায়ী করেন।
এবং অতি শীগ্রই পানি সংকট নিরসনে বিকল্প ব্যবস্তা গ্রহণ না করলে কঠিন আন্দোলনের ডাক দেবেন বলে হুশিয়ারী দেন।
তবে কোম্পানির দাবি তাদের কারণে এলাকায় কোনো সমস্যা হচ্ছে না,,কিছু লোক তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
এবিষয়ে স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান এস টি এম ফখর উদ্দিন ও প্যানেল চেয়ারম্যান মইন উদ্দিন লেচু মিয়া সহ সবার সহযোগিতায় ইতিপূর্বে মাসিক সমন্বয় সভায় এই কোম্পানিকে নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ও জানা যায়।
সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন – পানির অপর নাম জীবন,সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া জরুরি,যদি কোম্পানির কারণে এ সমস্যা দেখা যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিকল্প ব্যবস্তা নিতে হবে।
এলাকায় সাধারণ মানুষের সমস্যা ঘটিয়ে ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের পক্ষে সরকার কখনও আন্তরিক নয়।