সত্যজিৎ দাস (স্টাফ রিপোর্টার):
ময়মনসিংহের তরুণ লেখক ও কবি এবং ডেইলি সিলেট নিউজ24 এর সেরা উদীয়মান লেখক সোমা ঘোষ মণিকা’কে গত ০৩ জুলাই রবিবার রেলযোগে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার জন্য রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় ‘ব্রম্মপুত্র এক্সপ্রেস’ এর এসি বগিতে অচেতন করে তার প্রত্যহিক ব্যবহৃত ২২ ক্যারেট এর তিন আনা ও সাড়ে তিন আনার দুটি আংটি,ছয় আনার গলার স্বর্ণালংকার সহ নগদ দশ হাজার টাকা অজ্ঞাত এক লোক নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সোমা ঘোষ মণিকা ডেইলি সিলেট নিউজ24’কে বলেন,’ আমি ময়মনসিংহ আসবার জন্য যখন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ব্রম্মপুত্র এক্সপ্রেস এর টিকিট কাটতে যাই,তখন একটা লোক আমার পেছনে ছিলেন। তার মুখে বাংলাদেশ পুলিশের মাস্ক ও আইডি কার্ড ছিলো। টিকিট কেটে ট্রেনের উদ্দেশ্যে যখন প্ল্যাটফর্মে পা দিলাম,ঐ লোকটিও তখন কথা বলতে বলতে আমার সাথেই ট্রেনে উঠে এবং যখন আমি আমার কাঙ্ক্ষিত সিটে বসি,লোকটি আমার সিটের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো। আমি ঠিক কখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলি,তা মনে নেই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার দুটি আংটি,গলার চেইন ও ব্যাগে রাখা দশ হাজার টাকাও নেই।আমার সহযাত্রীরা বলেন,’আমার পাশের ঐ পুরুষ লোক আমাকে তার আপন বোন পরিচয় দেন ও বলেন আমার দিদি অসুস্থ,আপনারা একটু খেয়াল রাখবেন,আমি জল নিয়ে আসছি বলেই বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নেমে পড়ে’। আমার যখন জ্ঞান ফিরলো,তখন আমি জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন ক্রস করেছি।
সোমা ঘোষ মণিকা আরও বলেন,’ পুরাপুরি সবকিছু এখন আমার স্মৃতিতে নেই। ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে এখন নিজ বাসায় বিশ্রাম নিচ্ছি। যতটুকু মনে করতে পারছি,তা হলো,’আমি ঢাকা কমলাপুরের ‘হোটেল বিরতি’ নামক রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার খেতে বসি,তখন একটা লোক আমার চারপাশে ঘুরাঘুরি করছিলো। একজন ওয়েটার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলো,ম্যাডাম তাড়াতাড়ি খাবার শেষ করেন,এসি চলছে ঠান্ডা হয়ে যাবে। অতিরিক্ত গরমে অল্প আহারের পর ওয়েটারকে একটা পেপসি ওর্ডার করি,সে একটা গ্লাসে ঢেলে আনে। আমি পেপসি খেয়ে টেবিল ছেড়ে উঠার সাথে সাথেই ঐ লোকটি আমার পেছন ধরা শুরু করে। এর থেকে আর বেশি কিছু মনে নেই ‘।
জ্ঞান ফেরার পর অসুস্থ বোধ হওয়া শুরু হয় আমার ও মাথা ভারি হওয়া শুরু করে। ট্রেন থেকে নেমেই আমি ময়মনসিংহ জিআরপি থানায় জানিয়েছি,তারা বলেছেন দুতিনদিন পর এসে মামলা করা যাবে। আমি এখন কিছুটা সুস্থ হলেও,শরীর অত্যাধিক দূর্বল। আগামী বুধবার(০৬ জুলাই) কমলাপুর থানায় গিয়ে মামলা করবো ‘।