বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মহিউদ্দিন রনির ওপর উজ্জ্বলের মিথ্যা মামলা।

সত্যজিৎ দাস / ৩৪৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ৬ দফা দাবিতে গতকাল কমলাপুর রেলস্টেশনে একা গেলে পুরো রেলস্টেশনের সবদিকের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আরো একটি অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটে।
সাংবাদিক ভাইদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় একজন লোক এসে জিজ্ঞেস করছেন গত ১৩ তারিখ আপনি ভিক্টিম হলেন,কিন্ত ৬ তারিখ থেকে কেন আন্দোলন শুরু করলেন?

হয়তো জুন-জুলাই নিয়ে ওনার কনফিউশন তৈরি হয়েছে। আমি ওনার কনফিউশান দূর করতে জানালাম,গত ১৩ তারিখ(জুনের) আমি ভিক্টিম হই। ১৪ এবং ১৫ তারিখে(জুনের) আমি ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ দায়ের করেছি। জুলাই ৬ তারিখ না,৭ তারিখ থেকে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি করি। আবারো রিপিট করি ৬ না,৭ তারিখ থেকে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করি হাইকোর্টে রিট করার জন্য। এবং এইটা আন্দোলনে রূপ নেয় ৯ জুলাই রাতে একজন পুলিশ সদস্য ধাক্কা দেওয়ার পর। হয়তো আমি বোঝাতে পারিনি নাকি উনি বুঝতে চাইছিলেন না। তা তাকে জিজ্ঞেস করি। এর আগেই জনগণ তার ইনটেনশন আঁচ পেয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে। তাকে না মারার জন্য অনুরোধ জানাই।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অন্যদিকে ঘুরলেই লোকটির অস্বাভাবিক আচরণ এবং উত্তেজিত বাক্য প্রয়োগের কারণে জনগণ দালাল মনে করে ওনাকে পেটালেন। এর জন্য দুঃখও লাগছিলো। যে সত্যিই যদি লোকটি সাধারণ মানুষ হত। ওনার কনফিউশান বোধহয় আমি ক্লিয়ার করতে পারিনি। এটা আমার ব্যর্থতা। এসব কথা উল্লেখ করে শনিবার (২৩ জুলাই) ফেসবুক পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে ৬ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করা মহিউদ্দিন রনি।

তিনি তার ফেসবুক পোস্টে আরও বলেন, আজ একটি বিশেষ সূত্রে জানতে পারলাম,এই উজ্জ্বল সবুজবাগ ৪ নং ওয়ার্ড ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রার্থী এবং তিনি কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার এর বন্ধু সেই পরিচয় পাওয়া গেছে যদিও এটার শতভাগ বিশ্বস্ত তথ্য মাসুদ সারওয়ারই দিতে পারবেন।

উজ্জ্বল আমার নামে থানায় জিডি করেন,আমি নাকি আমার লোকজন নিয়ে তাকে ধাওয়া করেছি। অথচ গতকাল শুক্রবার(২২ জুলাই) আমি আমার শিক্ষার্থী বন্ধুদের নেইনি। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনটাকে বিতর্কিত করার জন্য নতুন ইস্যু পাকাচ্ছে যা পানির মত স্বচ্ছ এখন।

কথা হলো,যেখানে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী সহ,ঢাকার বিভিন্ন আওয়ামীলীগের বয়োজ্যেষ্ঠরা এসে দেখা করতে আসেন,সংহতি জানায়। মৌন সম্মতিও জানায়। আবার অনেকে এটাও বলে,” আমাদের হাত বাধা। আমরা আসলে ব্যাপারটা দলীয় হয়ে যাবে। এখন এই দাবি দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের সকল মানুষের,আমরাও চাই পরিবর্তন আসুক।”

সেখানে এদের মত পদপ্রত্যাশী উজ্জ্বলরা এসব ধান্দা করতে আসার সাহস পায় কি করে?
আমি তার এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনোভাব এবং তার এক্টিভিটিজের জন্য সবুজবাগ ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীলদেরকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। নয়তো বাংলাদেশের মানুষের এই প্রাণের ৬ দফা দাবিকে বাস্তবায়নে বাধার চেষ্টা করায় জনগণ তার বিচার করবে।

উল্লেখ্য যে,কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ ঢাবি শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিকে গত শুক্রবার (২২ জুলাই) রেল স্টেশনের প্রধান ফটক আটকে তাকে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। যোগাযোগ করা হলে তখন মহিউদ্দিন রনি বলেছিলেন,‘রেলওয়ে পুলিশ আমাকে কমলাপুর স্টেশনের প্রধান গেটে ঢুকতে বাধা দিয়েছে।’

এর আগে গত ২১ জুলাই ছয় দফা দাবিতে মহিউদ্দিন রনি ও তার সহযোগী আন্দোলনকারীরা স্টেশনে ঢোকার চেষ্টা করলে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং তাদেরকে আহত করে বলে অভিযোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহিউদ্দিন রনি ও তার বন্ধুরা তার নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের বিচারের দাবিতে শাহাবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তবে ঐদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি কমলাপুর রেলস্টেশনে বসার কর্মসূচি স্থগিত করে দিয়েছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন