ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ
আজ ৭ নভেম্বর রোজ সোমবার সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের কুরুয়া ব্রিটানিয়া পানি কোম্পানীতে জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত হয় বেলা ২.৩০ মিনিটে।
দয়ামীর ইউনিয়ন আশে পাশের এলাকা গুলোতে কয়েক বছর যাবৎ পানি সংকটে ভোগছে এলাকা বাসী। টিওবওয়েল এ পানি পাচ্ছেন না এলাকার লোকজন এতে করে রান্না বান্না গোসল সহ গৃহস্তালীর কাজ করতে পারছেনা লোকজন, এ পানি সংকট ৫-৬ বছর আগে এরকম পানির সংকট দেখা যায়নী, এলাকার সাধারণ লোকজন মনে করছেন এই ব্রিটানিয়া পানি কোম্পানির স্থাপনের ২ বছর পর থেকে এলাকায় পানির সমস্যা তৈরী হয়েছে।
২ বছর আগে দয়ামীর ইউনিয়নে ব্রিটানিয়া পানি কোম্পানির বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন হয়েছে তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রায় দের বছর আগে তদন্ত হয়েছে বলে জানাগেছে কিন্তুু সেই তদন্তের কোন কাগজ কোম্পানির মালিক দেখাতে পারেন নি,কোম্পানির মালিক দাবী করেন তদন্ত হয়েছে কিন্তু তাকে কোন তদন্ত প্রতিবেদন কাগজ দেওয়া হয়নী।
ব্রিটানিয়া পানি কোম্পানির মালিক উসমানপুর ইউনিয়নের পাঁচপারা গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী মিসবা সিদ্দিক। তিনি ২০১৭ সালে ঢাকা সিলেট বিশ্বরোডের পাশে কুরুয়াতে এই কোম্পানি স্হাপন করেন। তিনি দাবী করছেন পরিবেশ অধিদপ্তর, বিএসটিআই এর অনুমোদন এবং সকল নিয়ম মেনে পানি উত্তোলন করছেন এবং অনেক অসহায় বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন।
আজ জনসাস্থ্য প্রকৌষল অধিদপ্তর সিলেট সদর সহকারী প্রকৌশলী লায়েছ মিয়া তালুকদার এর নেতৃত্বে ৫সদস্যের একটি দল তদন্তটি করেন,
সৈয়দ দিদারুল ইসলাম কায়েছ উপ সহকারী প্রকৌশল জন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওসমানীনগর সিলেট,
রাসেল ভূইয়া উপ সহকারী প্রকৌশল জন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিশ্বনাথ, মো রুহুল আমীন
মেকানিক জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওসমানীনগর উপজেলার, আশীত কুমার চক্রবর্তী মেকানীক জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওসমানীনগর উপজেলার।
এতে উপস্থিত ছিলেন ৭নং দয়ামীর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমেদ নুনু, রাজনৈতিক ব্যক্তি মকবুল মিয়া, স্হানীয় বাসিন্দা মারুফ মিয়া, এন.এস.সি মিডিয়ার পরিচালক সাংবাদিক মোঃ হাবিবুর রহমান, মোতাফ্ফর আহমদ জামাল, এন টিভি সাংবাদিক আবু হানিফা,মতিয়া টিভির রুহেল মিয়া সহ এলাকার লোকজন।
তদন্তকালে কোম্পানির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চেক করেন এবং আশে পাশের কয়েকটি বাড়ীতে গিয়ে টিওবওয়েল পরীক্ষা করেন পানির অবস্থান নির্ণয় করেন। সহকারী প্রকৌশলী জানান তদন্ত চলমান রয়েছে সুষ্ট একটি তদন্ত হবে বলে জানান। তদন্ত পরে জানা যাবে এলাকার পানি সংকট এর কারণ পানি উত্তোলন নাকি অন্য কোন কারণ।