খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
তবলা প্রতিযোগিতায় দেশের ৬৪ জেলাকে হারিয়ে দেশসেরা (প্রথম) হয়েছেন পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্ণব ত্রিপুরা(১৩)। সে জেলার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রিয় বসু ত্রিপুরা ও দীঘিনালা কবাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পিংকি বড়ুয়া’র বড় ছেলে।আর (দ্বিতীয়) স্থান অর্জন করেছেন খাগড়াছড়ি বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী নান্টু আচার্য্যের ছেলে গল্প আচার্য্য (১১)। সে ষষ্ঠ শ্রেনির শিক্ষার্থী।
গত (২৪ ডিসেম্বর) শনিবার ২০২২ খ্রী. জাতীয় শিশু প্রতিযোগিতার ২০২০ ও ২০২১ এর ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিলো।
(খ গ্রুপ) থেকে তবলায় দেশসেরা (প্রথম) স্থান অর্জনকারী অর্ণব ত্রিপুরা গোল্ড মেডেল ও ক গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী গল্প আচার্য্যকে রুপ্য পদক প্রদান করা হবে।
অর্ণব ত্রিপুরা ও গল্প আচার্য্য এর সাথে আলাপকালে জানায়: খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনিস্টিউটের তবলার প্রশিক্ষক অরুণ শর্মার স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই অর্জন এসেছে বলে তারা জানান।
অর্ণব ত্রিপুরার বাবা জানান: ছোট বয়স থেকেই তবলার প্রশিক্ষক অরুণ শর্মার হাতেই অর্ণবের হাতেখড়ি। তারপর ধীরে ধীরে সে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং সফল হয়।এর আগেও ২০১৯ সালে অর্ণব তবলায় (ক গ্রুপ ) থেকে সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার রুপ্য পদক পেয়েছিল।
তবলার প্রশিক্ষক অরুণ শর্মার সাথে আলাপ কালে জানান:অর্ণব ত্রিপুরা ও গল্প আচার্য্য অত্যন্ত মেধাবী ও আগ্রহী ছাত্র।তারা একনিষ্ঠ ভাবে তবলার চর্চা করতো বলেই এই সফলতা এসেছে। আমি তাদের দুইজনকেই অভিনন্দন জানাই।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রবিবার ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেলা ৩টার সময় তাদের রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান করা হবে।আর এই অনুষ্ঠানে স্বয়ং মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং পুরষ্কার প্রদান করবেন।