নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট -৪ আসন’ জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মাস্টার রওশন।
তরুণ এই প্রবাসী ছাত্রনেতার জন্ম সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের কহাইগড় ১ম খন্ড গ্রামে তাঁর পিতাঃ মরহুম আছাব আলী ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্বা। তার দেশ বিদেশে রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্টান। জৈন্তাপুর উপজেলায় চিকনাগুল ইউনিয়ন যুব সংঘ ,চিকনাগুল ট্রাস্ট , দ্যা প্রাইম বুলেটিন টিভি’ , এবং ফ্রেন্ডশিপ বিজনেস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাস্টার রওশন।
ইতোমধ্যে তিনি নিজেকে সামাজিক কর্মকান্ডে জনপ্রিয়তার শীর্ষ স্থানে নিয়েছেন। বিশেষ করে বিগত করোনা মহামারি ও বন্যার সময় মানবসেবায় এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তার পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীবৃন্দ প্রতিদিন কর্মহীন, শ্রমজীবী, গরিব ও দুস্থ-অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও যে কোনো মানুষ বিপদের সম্মুখীন হলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
এলাকার মানুষের কাছে তিনি একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবেও পরিচিত পেয়েছেন। সামাজিক রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থনে বেশ এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
তরুণ এই সমাজসেবী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলেন আমি দূর প্রবাসে থাকলেও জৈন্তাপুর উপজেলায় বিভিন্ন সামাজিক মানবিক ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমি মানবিক কাজে নিজেকে আর্তমানবতার তরে নিয়জিত রেখেছি এঅঞ্চলের মানুষ যেকোনো সহযোগিতা চাইলে আমি সাধ্য মতো সহায়তা করার চেষ্টা করি। আমার এসব কাজের জন্য সাধারণ জনগণ আমাকে সিলেট ৪- আসেন এমপি পদপ্রার্থী হতে আহবান জানিয়েছেন আমি সাধারণ মানুষের কথা রাখতে শীঘ্রই দেশে ফিরে নির্বাচনী কর্মকান্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করব ইনশাআল্লাহ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
তিনি আরও বলেন সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসাবে খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ এই আসন টিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় এমপি নির্বাচিত হয়েও আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি, পাথর কোয়ারি গুলো বন্ধ থাকার কারণে হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন পার করছে। আমাদের ইমরান আহমেদ এমপি সাহেব আসনটি তে দীর্ঘদিনের এমপির পাশাপাশি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিন্তু উন্নয়নে তেমন পরিবর্তন আসেনি, মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। যে কোনো দল থেকে নতুন নেতৃত্বে আসলে যেমন উন্নয়ন হবে তেমনি দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন কোন দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন কি না তিনি সে বিষয়ে দেশে ফিরে সিদ্ধান্ত নিবেন।