রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

ঘাটাইলে জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা

মশিউর রহমান / ৭৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

মোঃ মশিউর রহমানঃ

টাংগাইল জেলার ঘাটাইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া কর্তৃক স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি, জুলুম, অত্যাচার, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের বিরুদ্ধে ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার বিকাল ০৪ঃ৩০ ঘটিকায় ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ড, পারুল প্লাজা সংলগ্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ঘাটাইল পৌরসভার নামীয় জমি ২২১ শতক বর্তমান মেয়র আব্দুল রশিদ, শামীম কাউন্সিলর এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হেলাল কর্তৃক যোগসাজশে বেআইনিভাবে নিজেদের নামে দলিলকরনের বিরুদ্ধে পৌরসভার জমি পৌরসভার নামে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এ প্রতিবাদ সভা করা হয়। এখানে সবাই যোগদান করে পৌরবাসীর স্বার্থে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ঐক্য গড়ে তুলেন। ঘাটাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদুজ্জামান ঘাটাইল পৌরসভার নামীয় জমি ক্রয় সংক্রান্ত জালিয়াতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিনি (শহীদুজ্জামান) দায়িত্বে থাকাকালীন ২০২০ সালে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ঘাটাইল পৌরসভার অনুকূলে ঘাটাইল থানাধীন জামুরিয়া মৌজার ২২১ শতক জায়গা বায়নাপত্র দলিল (রেজিস্ট্রিমূলে) করেন। কিন্তু তিনি জমি সঙ্ক্রান্ত একটি মামলা থাকা অবস্থায় (যাহা বর্তমানে নিষ্পত্তি) কর্তৃপক্ষ দলিল করতে নিষেধ করেন। যে কারণে দলিল করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে জমির মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জমির মালিকদের মিথ্যা চাপ প্রয়োগ করে অন্যত্র জমি বিক্রি করতে পারবে না বলে বর্তমান পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ০৮নং ওয়ার্ড এবং পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার যোগসাযোসে পৌরসভার কোন রকম রেজুলেশন বা সিদ্ধান্ত ব্যতীত ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে উক্ত জমি ০৮নং কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন শামীম এর নামে গত ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ইং সোমবার অফেরতযোগ্য পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দলিল করেন। বর্তমান মেয়র ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন শামীম এর নামে মেয়রের ছেলে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হত্যার পরিকল্পনাকারী আব্দুস ছালাম পিন্টু মুক্তি পরিষদের ঘাটাইল উপজেলার আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম এর একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করে দলিল সম্পন্ন করেন। এই জমি ব্যক্তি মালিকানায় চলে গেলে পৌরবাসীর ভোগান্তির শেষ থাকবে না।পৌরসভার কাউন্সিলরগণ ঘাটাইল পৌরসভার (বায়নাপত্র মূলে) নামীর জমি ক্রয় সাত জামিয়াতির (পাওয়ার জ এ্যাটর্নি দলিল) বাতিল পূর্বক ঘাটাইল পৌরসভার নামে দলিল করণ প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘাটাইল পৌরসভার গত পরিষদ ২০২০ সালে পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ঘাটাইল পৌরসভার অনুকূলে ঘাটাইল থানাধীন জামুরিয়া মৌজায় ২২১ শতক জায়গা বায়নাপত্র দলিল (রেজিস্ট্রিমূলে) করা হয়। কিন্তু জমি সঙ্ক্রান্ত একটি মামলা থাকা অবস্থায় (যাহা বর্তমানে নিষ্পত্তি) কর্তৃপক্ষ দলিল করতে নিষেধ করেন। যে কারণে দলিল করা হয়নি। বর্তমানে জমির মূল্য তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জমির মালিকদের মিথ্যা চাপ প্রয়ো করে অন্যত্র জমি বিক্রি করতে পারবে না বলে বর্তমান পৌর কাউন্সিলর ৮নং ওয়ার্ড এবং পৌরসভার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার যোগসাযোসে পৌরসভার কোন রকম রেজুলেশন ব্যাতিত ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে উক্ত জমি ৩৮নং কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন শামীম এ নামে গত ৩০ অক্টোবর, ২০২৩ইং সোমবার (দলিল নং- ৯৩৯১) অফেরতযোগ্য পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি দ= করেন। যাহা পৌরসভার স্বার্থ পরিপন্থী। আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার জন এ্যাটর্নি বাতিল পূর্বক পৌরসভা কর্তৃক রেজিস্ট্রিকৃত বায়নাপত্র দলিল নং- ৩৮৭৯ দলিলমূলে পৌরসভার নামে রেজিস্ট্রি করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর অনুমতি প্রার্থনা করে এবং এর সঙ্গে পৌর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানায়। ঘাটাইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র আঃ রশিদ মিয়া কর্তৃক অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা অর্থ আত্মসাৎ নানা অনিয়মের অভিযোগের খন্ড চিত্র প্রকাশ করা হলো- বর্তমান মেয়র যেন ঘাটাইল পৌরবাসীর “বিষ ফোড়া” হলোঃ বর্তমান মেয়র এর পূর্বে দায়িত্বে থাকাকালীন পৌরসভার নামে ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন এবং ড্রেন করার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। ঘাটাইল ব্র্যাক ব্যাংককে জমি ক্রয়ের জন্য রক্ষিত টাকা আত্মসাৎ করেন।কোটেশন টেন্ডার করে ২৯ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন। তার ব্যক্তিগত গাড়ীর নামে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। ঢাকা যাওয়ার নাম করে প্রতি মাসে প্রায় ৫০/৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।ভূমি পরিমাপের নামে ৬০০০ টাকা গ্রহণ করে ২০০০ টাকার রশিদ দেন, ৪০০০ টাকা LR ফান্ড । তার ব্যক্তিগত গাড়ী মেরামত বাবদ ১ লক্ষ টাকা পৌরসভা হতে গ্রহণ করেন ।পৌরসভার নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ট্রাক থেকে মাল আনলোড বাবদ ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। গত দুই বছরের টিয়ারের বরাদ্দ কোথায় ব্যয় হলো। তা ঘাটাইলবাসী জানতে চায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  

বিভাগের খবর দেখুন