আল-মামুন খান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানুষকে এক আল্লাহর পথে আসার আহবান ও রাসূলের মতাদর্শ অনুযায়ী জীবনকে পরিচালনা করা এবং মানুষের নৈতিক উন্নয়নের দাওয়াত নিয়ে বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও আওলাদে রাসূল হজরত ফিদায়ে মিল্লাত আসাদ মাদানি (রহ.)-এর খলিফা আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের আহ্বানে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে শুরু হচ্ছে তিনদিনব্যাপী ইসলাহী ইজতেমা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি ২৬, ২৭ ও ২৮ শুক্র, শনি ও রবিবার উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের ইছাপশর-বেলংকা গ্রামে জামিয়াতুল ইসলাহ আল-মাদানিয়া ময়দানে এ ইসলাহী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনদিনব্যাপী ইসলাহী ইজতেমার বিভিন্ন পর্বে ইসলাহী বয়ান, আম বয়ান, বিশেষ বয়ান, কোরআন তালিম ও তেলাওয়াত, জিকির ও দরূদের আমলসহ ধারাবাহিক আত্মোন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবেন আগত মুসল্লিরা।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া মাঠের গ্র্যান্ড ইমাম ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ইজতেমাকে ঘিরে চলছে সবধরনের প্রস্তুতি কাজ। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে ময়দানের কাজ করছেন। প্যান্ডেল তৈরির কাজ ছাড়াও রাস্তা মেরামত, মাইক টানানো, টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ময়দানের আগাছা পরিষ্কারের কাজ এগিয়ে চলছে পুরোদমে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে ইসলাহী ইজতেমা আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ ইজতেমা।
স্বেচ্ছাশ্রমে যারা কাজ করছেন তারা বলেন, আল্লাহর মেহমানরা ইবাদত বন্দেগি করতে আসবেন। তারা যেন সুন্দরভাবে ইবাদত বন্দেগি করতে পারেন সেই দিক খেয়াল রেখে ময়দানের কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তাড়াইল ইসলাহী ইজতেমার আয়োজক কমিটি বলেন, ময়দানের প্রস্তুতিকাজ শেষ করতে হাতে সময় খুবই কম। তাই ময়দানের প্রস্তুতির কাজ সম্পন্ন করতে আমরা এখন যুদ্ধাবস্থায় আছি। আশা করছি আগামী ২৬ তারিখের আগেই কাজ শেষ হবে, ইনশাআল্লাহ। ইসলাহী ইজতেমা বাস্তবায়ন কমিটি আরও জানায়, দূরদূরান্ত থেকে যারা এই ইসালাহী ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবেন সবাইকে নিজেদের শীতকালীন বিছানাপত্র সঙ্গে আনতে হবে। এলাকার অন্য মুসুল্লীদের সঙ্গে জামাত তৈরী করে আসার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।