রাজা মিয়া বিশ্বনাথ থেকেঃ
সিলেট বিভাগের একজন সুপরিচিত রাজনীতিবিদ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের দুইবারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান আ ন ম শফিকুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ,২০১৯ সালে ১৪ ই আগষ্ট সিলেট নগরীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিশ্বনাথের কৃতি সন্তান দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভী গাও গ্রামে ১৯৪৮ সালে ১লা ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন।
তার পিতা মরহুম মাষ্টার তবারক আলী ও মাতা খয়রুন নেছার একজন সুযোগ্য সন্তান ছিলেন মরহুম শফিকুল হক।
আ ন ম শফিক স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে কর্ম জীবনে তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।সিংগেরকাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মৌলভী গাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
১৯৬৫ সালে আ ন ম শফিক রাজনীতিতে যোগ দেন। শুরুতে ছাত্র লীগ পরে ১৯৭৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন। মুক্তি যুদ্ধের পর তিনি দীর্ঘদিন নির্বাচিত চেয়ারম্যান রমুজ খানের পরিবর্তে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৪ সাল থেকে দীর্ঘ ১৮ বছর সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে ৫ মাস কারাগারে ছিলেন।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পরবর্তীতে ২০০২ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন।
২০০০ সালে জাতিসংঘের মিলেনিয়াম শীর্ষ সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে যোগ দেন।
তিন মেয়ে ও দুই ছেলের জনক সএী রাজিয়া খাতুন ও একজন শিক্ষানুরাগী।
সিলেটের উন্নয়নে এক আলোকিত নাম আ ন ম শফিক।
আ ন ম শফিকুল হকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে তার স্মৃতিচারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন আ ন ম শফিক ছিলেন সিলেটের রাজনৈতিক বীরপুরুষ,তার হাত ধরে আজ অনেকই রাজনৈতিক হয়েছেন।সিলেট আওয়ামী লীগ কে দুঃসময়ে আগলে রেখেছেন আ ন ম শফিক।
এদিকে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক বলেন আ ন ম শফিকুল হক একটি নাম নয় একটি রাজনৈতিক অধ্যায়।
যার মৃত্যুতে আমরা হারিয়েছি একজন অভিবাভক ও একজন সুমহান রাজনৈতিক ব্যক্তিকে।
লেখক ও কলামিস্ট সাম্যবাদী কবি সাইদুর রহমান সাইদ বলেন আ ন ম শফিক ভাই একজন পরিছন্ন রাজনীতিবিদ ছিলেন।
যাকে সিলেট বাসী জান প্রান দিয়ে ভালোবাসত তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই। আমরা তাহার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।