শিরোনাম
কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে বানারীপাড়ায় ন্যাশনাল সার্ভিসের কমিটি গঠন। সুমন দেবনাথ সভাপতি, সজল চৌধুরী সম্পাদক জনপ্রতিনিধিরা কারা হবেন ইসলামের আলোকে! জৈন্তাপুর সদরে বাস-স্টেশন এলাকায় ভারতীয় পন্যের উপর রপ্তানী ট্যাক্স আদায়-কে কেন্দ্র করে দু’টি গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া জৈন্তাপুরে কাপ-পিরিচ প্রতীক পেলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু জৈন্তাপুরে ঘোড়া প্রতীক পেলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী কামাল , সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাইলেন আমি তোমার জম মালাকুল মউত আজরাইল ৫নং কলাতলীতে বাজার ব্যবসায়ী নির্বাচন সম্পূর্ণ হয় জৈন্তাপুর কেন্দ্রী নতুন ব্রিজের রাস্তার উন্নয়ন কাজে নদীর তীরবর্তী জায়গা থেকে মাটি উত্তোলন করা নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টা অভিযোগ  জৈন্তাপুরে প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মণিরামপুর সরকারি কলেজে অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায়ের অভিযোগ

Coder Boss / ২৭৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধি:

সরকারী নিয়মনীতি ও নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে যশোরর মণিরামপুর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা বোর্ডের জারিকৃত ভর্তির প্রজ্ঞাপনে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১০০০ টাকার বেশি হবে না বলে উল্লেখ থাকলেও-শিক্ষা বোর্ডের নিয়মনীতির ও নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ভর্তি ফি গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে ওই কলেজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

সূত্রে জানা যায়, কোভিড-১৯ এবং অভিভাবকদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে উল্লেখিত ফি-যতদুর সম্ভব মওকুফ করতে নির্দেশনার উল্লেখ করে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ভর্তি ফিসহ মাসিক বেতন ও যাবতীয় খরচের বিষয়ে অবহিত করে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছে। সে মোতাবেক শিক্ষা বোর্ডের জারি করা ভর্তির প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে, সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকার বেশি হবে না। নির্দেশনায় মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে সেশন ফিসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ১ হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত এমপিওভূক্ত বা এমপিও বহির্ভূত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন ও এমপিও বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময়ে ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে ৭ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার টাকা নিতে পারবে। তবে উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান এবার ১ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে রেড ক্রিসেন্ট ফি বাবদ ১২ টাকা নিতে পারবে। কোনো শিক্ষার্থীর পাঠ বিরতি থাকলে ও বিলম্বে ভর্তি হলে তাকে ১৫০ টাকা পাঠ বিলম্ব ফি প্রদান করতে হবে। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা ও নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ভর্তি ফি গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে মণিরামপুর সরকারী কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, উপজেলা সদরে অবস্থিত মণিরামপুর সরকারি কলেজে চলতি বছর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনলাইন প্রসেসিং ফি, ভর্তি ফি, ভর্তি করণের নামে একাদশ শ্রেণির ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী প্রতি মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞান ও বিএম শাখায় ১ হাজার ৫’শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ভর্তি ফরম বাবদ আরও ১’শ ৫০ টাকা অতিরিক্তসহ মোট ভর্তি খরচ ১ হাজার ৬’শ ৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে। গরীব, অসহায়, মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তির ক্ষেত্রেও কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হচ্ছে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের ধার্য টাকার স্থলে কম দিলে ওই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে না।
মণিরামপুর সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী রুবায়েত হাসান রকি, রায়হান রানাসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, রূপালী ব্যাংক, মণিরামপুর শাখায় কলেজের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে জমা দেয়া ভর্তি বাবদ রসিদ মূলে ১ হাজার ৫’শ টাকা ও কলেজ থেকে ভর্তি ফরম বাবদ আরও ১’শ ৫০ টাকা নিয়েছে। অর্থ্যৎ ভর্তির জন্য আমার কাছ থেকে মোট নেয়া হয়েছে ১ হাজার ৬’শ ৫০ টাকা। কিন্তু আমাদের পার্শবর্তী কেশবপুর সরকারী কলেজে সর্বমোট ভর্তি নেয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা, কলারোয়া সরকারী কলেজে নেয়া হচ্ছে ৯’শ ৯০ টাকা। কি কারণে আমাদের কলেজে ভর্তি ফি বেশি নেয়া হচ্ছে সেটা বুঝতে পারছি না। আমরা যতদূর জেনেছি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের এ বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে কোন উল্লেখ নেই। সুতরাং এটি বিধি বহির্ভূত।

এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ বিএম রবিউল ইসলাম ফারুকী বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্বান্ত মোতাবেক নিয়মনীতির মাধ্যমেই ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তাছাড়া বোর্ডের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ভর্তির টাকা নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত কোনো টাকা আদায় করা হচ্ছে না বলে তিনি দাবী করেন।

এ বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, যদি কলেজে ভর্তির বিষয়ে কোন অনিয়ম হয়ে থাকে-তবে আমার সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকে সেটা ক্ষতিয়ে দেখবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন