সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৫নং পুর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের বরাদ্ধের টাকা ১০নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল খয়ের কর্তৃক দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পুর্ব আলীরগাঁওয়ের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬-০৯-২০ ইং তারিখে জেলা প্রসাশক সিলেট বরাবরে একটা লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। যার ডকেট নং (০৩)।বাদীর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে (এলজিএসপি-৩) প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এনামুল হাবিব স্বাক্ষরিত ১২-৭-২০২০ ইং তারিখে পত্র মোতাবেক ৫নং পুর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে ৩১৪৯৯৬৩ টাকা ও পশ্চিম আলীরগাঁওয়ে ৮৬৭২৪৩ টাকা বরাদ্ধ প্রদান করা হয়। কিন্তু বিগত ৯-৩-২০ ইং তারিখে বিজিসিসি সভায় ১০ নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউপিতে প্রায় বিশ লক্ষ টাকার বেশি এবং ৫নং পুর্ব আলীরগাঁও ইউপিতে মাত্র ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদিত হয়। উল্লেখ্য যে পশ্চিম আলীরগাঁও ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল খয়ের সরকারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তার ক্ষমতার অপব্যবহার দেখিয়ে পুর্ব আলীরগাঁও ইউপির সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত টাকার প্রকল্প পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে নিয়ে যান। এতে পুর্ব আলীরগাঁও বাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। এদিকে জেলা প্রসাশক ছাড়াও এলাকাবাসীর পক্ষে বাদী হয়ে এবিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী সহ সরকারের উর্দ্ধোতন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উনার কাছে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল খয়ের বলেন, এসব ষড়যন্ত্র, নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় বরাদ্ধ হয়েছে। ইউপি সচিব সুমন হরিপ্রিয় দাশ জানান একটু উল্টাপাল্টা হয়েছে। পাশাপাশি মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে খেলাধূলা সামগ্রী বাবত ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলে তা কোন শিক্ষা প্রতিষ্টানে দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ ও রয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব জানান এই বরাদ্ধ ইউনিয়ন ডিভাইড হওয়ার পুর্বে এসেছে এবং সে মোতাবেক বন্টন করা হয়েছে।