বিশ্বনাথ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে একমাত্র বৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী নদীর নাম বাসিয়া।সিলেটের ঐতিহাসিক সুরমা নদী থেকে যার উৎপত্তি।
যে নদীটি বিশ্বনাথের মানুষের জন্য ছিল সপ্ন ও নদী মাতৃক বাংলাদেশের একটি অনন্য নিদর্শন।
কিন্তু উপজেলার সদর দিয়ে বহমান থাকায় দনু চরের স্হানীয় ভূমি খেকোদের কবলে পরে ধীরে ধীরে দখল দূষণ ও নদীর নৈবতা হারিয়ে ফেলে।
এমত অবস্থায় বিশ্বনাথ বাসীর কান্নার মধ্যে হাসির ফোটাতে অর্থ, অাধিপত্য,ও জোর দখল দূষণের প্রভাব থেকে রক্ষা করতে ২০১৫ সালে বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদের সূচনা করেন সপ্ন দ্রষ্টা ফজল খান।৷সেই কমিটির যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্বে ছিলাম আমি ও। উনাকে নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আনন্দোলন সংগ্রামের পথে নদীটির পূর্ণ খনন কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে।এবং খনন ও হয়েছিল।এছাড়া অবৈধ দখল ও দূষণের জন্য দুচরের অবৈধ স্হাপনা ও উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
বর্তমান সময়ে বাকি উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইতিপূর্বে টেন্ডার সংক্রান্ত সকল তদারকি এগিয়ে রয়েছে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নদীর ব্যাপারে আনন্দোলকারীদের পক্ষে আন্তরিক রয়েছেন।
ইতিপূর্বে আহবায়ক ফজল খানের নেতৃত্বে মাননীয় ভূমি মন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।
বিশ্বনাথের মাটি ও মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে বলে আমরা আজ কিছু আনন্দিত।আমাদের সংগঠনের দৃঢ় সংকল্প ও প্রচেষ্টায় আজ নদী মাতৃক বাংলাদেশে বাসিয়া নদীটি পূর্ণ উদ্ধার করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খান বলেন – ২০১৫ সালে বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদের নামক আমাদের এই সংগঠন আত্ন প্রকাশ করে।২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আনন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছি।আমারা নীতি নৈতিকতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিশ্বনাথবাসীর ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সব সময় কাজ করে আসছি। যখনই দখলবাজ দূষণবাজ মাথা ছাড়া দেয় তখনই আমরা বিশ্বনাথের সচেতন নাগরিক বৃন্দকে নিয়ে আনন্দোলন করে আজ আমরা অগ্রসর হতে যাচ্ছি।ইনশাআল্লাহ যতক্ষণ পর্যন্ত নদীটি পূর্বের জায়গায় ফিরিয়ে না আসবে আমাদের আনন্দোলন সংগ্রাম বিশ্বনাথের মাঠি ও মানুষের সার্থে অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।।