নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
আজ সোমবার(১৬ নভেম্বর)ইসকন সিলেট মন্দিরে অন্নকুট ও গিরিগোবর্ধন পূজা উদযাপিত হয়েছে।বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আজ পালন করেছেন অন্নকুট ও গিরিগোবর্ধন পূজা। প্রতি বছর এ উৎসব আনন্দের বার্তা বয়ে আনলেও বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ইসকন সিলেটে ‘নিরানন্দভাবে’ অন্যরকম পরিবেশে অন্নকুট মহোৎসব উদযাপিত হয়েছে।করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে মন্দিরের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্নকুট অনুষ্ঠিত হয়েছে।অনুষ্টানে সর্বস্তরের ভক্তদের মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
ইস্কন বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ও ইসকন সিলেটের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভক্তি অদ্বৈত নবদ্বীপ স্বামী মহারাজের সভপতিত্বে প্রায় ১২০০শত রান্না করা আইটেম দিয়ে গিরিগোবর্ধন পূজার আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের মানুষ যাতে করোনা মহামারী থেকে মুক্তি পায় সেজন্য গিরিরাজের কাছে বিশেষ প্রার্থনাও করা হয়।দুপুর ১২টা ১ মিনিটে একযোগে এ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈদিক শাস্ত্রমতে,অন্নকুট শব্দের অর্থ অন্নের পাহাড়। এই উৎসবে গিরিরাজ গোবর্ধন এবং ব্রাহ্মণের পূজার বিধান শাস্ত্রে দেওয়া আছে।দ্বাপরযুগে এই তিথিতে ভগবান দামোদর ইন্দ্রের প্রকোপ থেকে ব্রজবাসীদের অভয় দেওয়ার জন্য গিরিরাজ গোবর্ধনের পূজা এবং ব্রাহ্মণ পূজার প্রচলন করে ছিলেন। কলিযুগে মাধবেন্দ্রপুরীপাদ পুনরায় ভগবান দামোদরকে গোবর্ধন পর্বত স্থাপন করে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে এই উৎসবের প্রচলন করেন। তারপর ইস্কন প্রতিষ্ঠাতা শ্রীল এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ সারা পৃথীবিতে গোবর্ধন পুজার প্রচলন করেন।