রিতেষ কুমার বৈষ্ণব ( হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি)
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ৬ নং কাগাপাশা ইউনিয়নের মকা গ্রামের হাওরের ছোঠা নদীতে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির লাশ ভেসে উঠার খবর পাওয়া গিয়েছে,
এলাকা বাসী সূত্রে জানা যায় গত কাল ১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা বেলা একটি লাশ সুঠা নদীর বাঁকে ভেসেঠ উঠেছে বলে এলাকায় কানা ঘুষা শুরু হয়, নদীতে লাশ ভেসে উঠার খবর টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয় টি কাগাপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এরশাদ আলী কে জানানো হয়,
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান এরশাদ আলীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রিতেষ কুমার বৈষ্ণব কে জানান – এইরকম ঘটনা আমাদের এলাকায় বহু কাল যাবত ঘটেই আসছে, এই শোটা নদীর বাঁকে কোথা থেকে লাশ ভেসে আসে তা অনেক সময় অজানাই থেকে যায় এলাকা বাসীর, শোটা নদীর অনেক নালা রয়েছে যার ফলে লাশ গুলো কোথায় থেকে আসে তা খোঁজ নিয়ে বেড় করা কষ্টকর হয়ে যায়, গলিত লাশ দেখে ভয়ে এলাকা বাসী ও কাছে যেতে চায় না, বিভৎস, বিকৃত চেহারার ভয়ানক রূপ দেখে এলাকায় আতংক বিরাজ করে দীর্ঘদিন যাবত।
তবে এই লাশটি ৪-৫ দিন আগে নবীগঞ্জের করগাও এলাকার একই নদীর বাঁকে আটকা ছিল বলে জেলেদের কাছ থেকে খবর পেয়েছেন চেয়ারম্যান এরশাদ আলী।
তিনি আরও জানান -ঘটনার খবর পেয়ে আমি বানিয়াচং থানার ওসি এমরান হোসেন’র মোবাইল নাম্বারে অজ্ঞাত লাশ ভেসে উঠার খবর টি জানানোর পরে আজ সকালে আমি এবং এলাকা বাসীর উপস্থিতিতে বানিয়াচং থানার একদল পুলিশ বিকৃত চেহারার এই লাশটি অনেক কষ্টে থানায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
এই বিষয়ে বানিয়াচং থানার অসি জানান ঘটনার খবর পেয়ে প্রজিত কুমার দাস (পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত) র নেতৃত্বে এসআই মোঃ ফিরোজ আল মামুন, এসআই মোঃ আব্দুস ছত্তার সংগীয় ফোর্সের সহায়তায় একদল পুলিশ অক্লান্ত পরিশ্রম করে পঁচা লাশটি থানায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে, লাশটি পঁচে, গলে, মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যাওয়ায় চেহারা চিহ্নিত করা খুব কষ্ট কর হয়ে উঠছে, আমরা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আশপাশের কোন এলাকায় অনুমান (৩০-৩৫) বছরের কোন পুরুষ লোক নিখোঁজ হয়ে থাকলে অত্র থানাকে অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।