হবিগঞ্জ,বাহুবল প্রতিনিধিঃ
ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে যে আকর্ষণ হয়,সেটা রোমান্স নয়,সেটা রজোগুণ। আপনি দেখলেন,সেও দেখলো, নয়নে নয়ন মিললো,প্রেম হলো।এই সব হলো রজোগুণ। এর জন্য প্রতি বছর ভ্যালেন্টাইনস ডে এর পরে মতও পাল্টে যায়।পাগল হয়ে যাচ্ছেন তার চেহারা দেখতে দেখতে,কতো কতো গিফট কিনে দিয়েছেন,কতো রেস্টুরেন্টে কতোকিছু খাইয়েছেন,তারপরেও মনে হবে কেচ্যার কেচ্যার কেচ্যার,কখনও রীতা,কখনও প্রমিতা। *Rose is Red,Sky is Blue, ohh my darling, I love U*পাগল হয়ে যাচ্ছেন তার চেহারা দেখতে দেখতে,*Rose is dead,i have flue,don’t come there me, চলে যা তুই! ভালোবাসা শেষ।। যতসব কবিতা,গান,ছড়া,এটা ওটার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সেক্স লাইফ। যতো শ্রদ্ধা থাকে ভালোবাসায়,ততো তাড়াতাড়ি শ্রদ্ধাও কমে যায়।”চাটা শেষ চামড়াকে?হ্যাঁ শেষ। সুখ পেয়ে গেছো তাহলে?; হে পেয়ে গেছি”। রজোগুণ সব। কদিন পর হানিমুনও যদি হয়,পরে হানির স্বাদ গ্রহণও হয়ে গেলো! আমি তুমার চামড়াও দেখলাম,তুমিও কিছুই পেলেনা,আর আমিও কিছু পেলাম না! ভালোবাসা শেষ!।। তো ভালোবাসার বয়স কতো হলো?? চামড়া দিয়ে শুরু, চামড়া দিয়ে শেষ, that’s it. সব খেলা ঐ চামড়ার,এখন জ্যাকলিনকে বা সানিলিওনিকে যদি আপনার সামনে দাঁড় করানো হয়,আর প্রশ্ন করা হয়, কেমন মেয়ে সে? উত্তরে বলবেন মাখনের মতোন😋! very good. একটা ধারালো ব্লেইড দিয়ে যদি তার চামড়া কাটা হয়,সেখানে ১ মিলিমিটার ক্ষত হলো,এখন আবারও আপনার সামনে তাকে দাঁড় করানো হলো,দেখবেন জ্যাকলিন/সানিলিওনি কে? কেমন লাগছে এখন?উত্তরঃ মাংসের দোকানে যে মাংস ঝুলিয়ে রাখে,সেরকমই লাগছে। কেউ করবে কিছু?,, না।। So that is ভালোবাসার গভীরতা কতো? মাত্র ১ মিলিমিটার*। উপরের প্যাকেজ সরাতেই,ভালোবাসা শেষ। কেনোনা সারা খেলা কার? সব প্রেম মোহাব্বত ঐ চামড়ারই। এগুলো রজোগুণের চিন্হ। Is attraction between man and woman is রজোগুণ। এজন্য অনেকেই ভাবেন,ঐ সাদা চামড়ায় বেশি সুখ হবে, এজন্য কেউ যখন কোন খারাপ সাইটে যায়,তখন সে আমেরিকার ওয়েবসাইটে ঢুকে,কারণ আপনার কাছে বাংলাদেশী/ভারতীয় বাজে। ওয়েস্টার্ন মাল অনেক ভালো। আবার আমেরিকানরা কাদের দেখে,তারা এশিয়ানদের দেখে। আমেরিকার যতোজন পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে ঢুকে,তখন তারা এশিয়ানদের খোঁজে,আর এশিয়ানরা খোঁজে আমেরিকানদের। তারা ভাবে এখানে সুখ,আর এরাও ভাবে ওখানে সুখ। ঐখানেও সুখ নেই,এখানেও সুখ নেই,দুইটাই শুকিয়ে আছে। এই সবই হলো “রজোগুণ” । আর এটা হলো আজকালকার ভালোবাসা !!!!
লেখকঃ-✍️ সাংবাদিক সত্যজিৎ দাস ✍️