শহীদ কাজীঃভৈরব,কিশোরগঞ্জ -ভৈরব রেলওয়ে ষ্টেশন, বললে ভুল হবে! বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় রেলওয়ে জংশন ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশন! অথচ এমনি কপাল ভৈরববাসির রিক্সাযোগে অটোযোগে বা মোটল সাইকেল দিয়ে ষ্টেশনে যাবার আগেই পলাশ সিনেমা হলের মোড়ে ময়লা আবর্জনা ও পঁচে যাওয়া পলিথিনের কিবা গরু মহিষের মলমূত্রের সুগন্ধিযুক্ত ঘ্রাণে পথচারিদের পেটের আহার বমির সাথে বের হয়ে যায় দেখার কেউ নেই! কখনো রাত ১১ টা ১২ টা কিংবা ১টা হলে আমাদের স্বজনরা ষ্টেশন হতে বাড়ীতে আসতে বড্ড ভয় পাই গোরস্থানের সামনে পূর্বে পশ্চিমে উওর দক্ষিণে কোথাই জানি ছিনতাই আমাকে ধরে ফেলে! যতোক্ষণ না পর্যন্ত ষ্টেশন হতে বাড়ীতে না পৌছাই ঠিক ততোক্ষণই অভিভাবকরা আল্লাহকে স্মরণ করে বলে,হে খোদা আমার সন্তানকে তুমি সহি সালামতে আমার বাড়ীতে পৌছিয়ে দিও! বাসষ্টেন্ড নৌযান কোনো পথেই নিরাপদ নয় ভৈরববাসি কোনো না কোনো ভাবে ত্যাক্ত বিরক্ত হতেই হয়! আর এর পদক্ষেপতো কোনো কলেজ ছাত্র কোন শিক্ষক পিন্সিপাল নিতে পারবেনা,নিতে হবে ভৈরবের বড় মাপের অভিভাবকদের!
পথেঘাটে খোলা জায়গায় আদান-প্রদান হচ্ছে মাদক। আর সেই মাদক যেমন গাঁজা,ইয়াবা, ফেনসিডিল এগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছে ভৈরবের তরুণ যুবকদের নিকট! এক একটি মাদক সম্রাটরা_আর এতে করে মাদকে আসক্ত হচ্ছে ভৈরবের তরুণ যুবকরা! মা বাবাদের কাছ থেকে ভিন্ন ভিন্ন বায়না ধরে টাকা নিচ্ছে স্কুলে কলেজের এটা লাগবে সেটা লাগবে বলে,আর মা বাবাও আবরের সন্তানের উজ্জল ভবিষৎ এর কথা চিন্তা করে শতে কষ্টে দিচ্ছে সন্তানকে টাকা! কিন্তু সেই টাকা দিয়ে এই তরুণ যুবক নেশা করে হচ্ছে নেশাগ্রস্থ! যখনি পকেটে টাকা না থাকে আবোরো নতুন কৌশলে মা বাবার কাছে টাকার জন্য বায়না ধরে, কিন্তু মা বাবা কদিন পরপর ছেলের বায়না কিভাবে পূরণ করবে টাকাতো আর গাছের পাতা নয়, যখনি বলে সন্তানকে যে বাবা আমার এই মাসের বেতনের টাকা যা ছিলো তা শেষ আমার নিকট আর তোকে দেবার মতো টাকা নেই! ঠিক তখনি নেশার চুলকানিতে অন্ধকার পথে নেমে পড়ে এক একটি যুবক! বেঁছে নেই বিভিন্ন মন্ধ কর্ম, চুরি ডাকাতি ছিনতাই! আর এখান থেকেই কিন্তু জন্ম হয় সন্ত্রাস নামক শব্দটি! মাদকাশক্তরা ড্রাগস নেবার জন্য সবকিছু করতে পারে! আর মাদকসম্রাটরা ৫ টাকার মাল কিভাবে ১০০ টাকা বিক্রি করতে পারবে সেই ধান্দাই থেকে সমাজকে করছে কুলসিত অথচ দেখার মতো কেউ নেই! যার প্রভাবে দিন দিন বাঁড়ছে চুরি,ছিনতাই খুন_ অথচ এই ভৈরবে কি নেই আমার জানামতে চার_চারটি থানা আছে! যেমনঃ ভৈরববাজার থানা, ভৈরব রেলওয়ে থানা, ভৈরব বাসষ্টেন্ড থানা, ও ভৈরব নৌ_থানা একটি উপজেলাতে ৪টি থানা আর অন্য কোনো উপজেলাতে আছে কিনা আমার জানা নেই! এতো থানা থেকে কি লাভ যেখানে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী হয়! নৌ পথে ডাকাতি হয়! ভৈরব বাজারে নিরাপত্তা নেই! হাত ব্যাগ থেকে চেইন খুলে টাকা গহনা মোবাইল চুরি হয়, বাসষ্টেশনে দিগুন বাসভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয়! আপনি দেখেন পার্শ্ববতী আশুগন্জ থানা! এই আশুগন্জে গত দুবছরে রেকর্ড কোনো চুরি,ছিনতাই,খুন হয়নি! সুতরাং আশুগন্জ সুস্থ্য হয়ে গেছে ভালো চিকিৎসকের চিকিৎসায়! আমার আপনার প্রাণের ভৈরব দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে ভালো চিকিৎসকের অভাবে! আসুন আমরা ভালো চিকিৎসকের সন্ধান করি! সম্ভাবনার পথে চলি! ভৈরবকে সুস্থ করতে এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন ভালো চিকিৎসকের______________ বার্তা প্রেরকঃ শহীদ কাজী