মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় ১৭০ টিরও বেশি দেশে একযোগে চলছে জলবায়ু আন্দোলন যাতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশও। এই আন্দোলনের শুরু হয়েছে ২০১৫ সালেরও আগে কিন্তু বিশ্ববাসীর কাছে ছড়িয়ে পড়ে ২০১৯ সালে। অনেক দেশের মতো এই আন্দোলনে বাংলাদেশের যুবরাও যুক্ত হয়। ফ্রাইডেস ফর ফিউচার নামক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো তবে পার্থক্য শুধু এতটুকুই যে দাবানলের রোষে পড়া আমাজন বা কঙ্গো ফরেস্ট আর বন্যা ঠেকানো সুন্দরবন সহ পৃথিবীর বুকে সবুজের সামঞ্জস্য করতে এই আন্দোলন বেগবান হয়।
এই আন্দোলনে তাদের দাবি মুক্ত আকাশ, সুস্থ বাতাস। উন্নত বিশ্বের উন্নয়নের লক্ষ্যে পোড়া জীবাস্ম জ্বালানি যেমনঃ কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস শুধু বায়ু দূষণ করে তাই নয়, সাথে গ্রীন হাউস প্রভাব বাড়িয়ে দিচ্ছে পৃথিবীর উষ্ণতা। ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নিম্নাঞ্চলের দেশগুলো। বিশেষজ্ঞদের মতে এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের দেশের দক্ষিনাঞ্চল তলিয়ে যাবে।
আগামির কথা মাথায় রেখে সমগ্র বিশ্বের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে মৌলভীবাজার থেকে মোঃ মোক্তাদির আলী, অলি আহমেদ ও হাবিব মিয়ার সমন্বয়ে অংশ নেয় চাঁনপুর স্বপছোঁয়া ফাউন্ডেশন।
‘বন্যায় ভেসে যাই, জলবায়ুর সু-বিচার চাই’ এমন স্লোগানে ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩ টায় তারা চাঁনপুর দক্ষিন খেলার মাঠে দীর্ঘক্ষন অবস্থান করে আলোচনার মাধ্যমে সমাপ্তি করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নছোঁয়া সভাপতি ইমন আহমদ, সহ -সভাপতিঃ নোমান আহমদ, সোয়াইব আহমদ, ওয়াশিম মিয়া, মোবাশ্বীর আলী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোজাক্কির, অজুদ, কিবরিয়া, ফায়সাল, আল আমিন, সুজন, আতিকুর, দেলোয়ার, আমজাদ, মাছুম, জাকারিয়া, নুনু, বাবুল, জুবেল, আনিছ, মোছা, সুরঞ্জিত হারুন সহ প্রমুখ।