সিলেটঃ সিলেটের হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার গেইট সংলগ্ন খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা হাসপাতাল টি করোনা রোগীদের সেবা দিতে কার্যক্রম শুরু করবে খাদিমপাড়া আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে।
আগামীকাল (শনিবার ২৭ জুন) উদ্বোধন হবে এই আইসোলেশন সেন্টার। শনিবার থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া শুরু হবে এই আইসোলেশন সেন্টার। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন এমপি’র আন্তরিকতা এবং প্রবাসী দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে সিলেটে নতুন এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে কিডনী ফাউন্ডেশন।
অপরদিকে ৩১ শয্যা হাসপাতাল টি করোনা রোগীদের জন্য আইসোলেশন সেন্টার করায়। আউটডোর রোগীদের জন্য খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আফছর আহমেদর আন্তরিকতায় খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে ভবনে আউটডোর রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হবে।
খাদিমপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডভোকেট আফছর আহমদ ফেইসবুকে বিস্তারিত লিখেছেন। উনার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
আলহামদুলিল্লাহ, প্রস্তুত খাদিমপাড়া আইসোলেশন সেন্টার। আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন হবে এই আইসোলেশন সেন্টার। সরকার, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি’র আন্তরিকতা এবং প্রবাসী দানশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা নিয়ে সিলেটে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছে কিডনী ফাউন্ডেশন।
সে উপলক্ষে আগামীকাল রোজ শনিবার থেকে খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস খাদিমপাড়া ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আউটডোর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। যেহেতু শাপরান হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হয়েছে এবং এখানে করোনা রোগীর চিকিৎসা চলবে সেই কারণে আমি আমার খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস হাসপাতালের আউটডোর হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দিয়েছি। যাতে সাধারণ রোগীরা কষ্ট না পায় বা সাধারণ রোগীরা করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসে তারা যাতে আক্রান্ত না হয়। তাই আগামীকাল রোজ শনিবার হতে খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিস খাদিমপাড়া মেডিকেলের আউটডোর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এখানে ডাক্তাররা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন । এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য খাদিমপাড়া ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ব্যবহৃত হবে আগামীকাল থেকে। আপনারা যারা আউটডোরে ডাক্তার দেখাবেন তারা অবশ্যই খাদিমপাড়া ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে না গিয়ে খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে চলে আসবেন সেখানেই আউটডোরে চিকিৎসা চলবে। সাধারণ রোগীদের কথা চিন্তা করে আমি এই খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অফিসকে আউট ডোর হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বলেছি এবং আমার আহবানে সাড়া দিয়েছেন ডাক্তাররা।
আমি চাই সবধরনের চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্নে চলুক।