আমিনুর রহমান তুহেল বালাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জ উপজেলার ৩নং দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের নশিওরপুর গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় মৃত আরজু মিয়ার পুত্র কনু মিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় বালাগঞ্জ থানায় ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ০৬,তারিখ ২৬/০৬/২০২০। মামলার আসামীরা হলেন, ১)আব্দুল ওয়াহিদ (৩৫)পিতাঃ আব্দুল কাদির ২)আব্দুল কাদির (৬৫)পিতাঃমৃৃত আঞ্জব আলী ৩)আবু জাহেদ (৩২) পিতাঃআব্দুল কাদির সর্ব সাং নশিওরপুর। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুন বুধবার সকাল ১১ঃ৩০ মিনিট কনু মিয়ার সবজি খেতে ২য় আসামি আব্দুল কাদিরের গরু বেড়া ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি করলে কনু মিয়া প্রতিবাদ করায় বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে ২য় আসামি আব্দুল কাদিরের হুকুমে ১ম আসামি আব্দুল ওয়াহিদ সন্ত্রাসী হামলার অংশ হিসেবে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার পাইপ দিয়ে সজোরে আঘাত করলে কনু মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় অন্য আসামি আবু জাহেদ মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লিলাফুলা জখম করে। ঘটনাস্থলে ৫ নং সাক্ষী ও তাহার পুত্র তাহমিদ চিৎকার করলে ঘটনার আশেপাশের অন্যান্য সাক্ষীগন উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করা হয়।হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (২৫জুন)ভোর ৪ টার দিকে কনু মিয়া মৃত্যুবরন করেন। এদিন ঘটনার সংবাদ পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকালে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। দুপুরে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আলাপকালে গাজী আতাউর রহমান জানিয়েছেন,কনু মিয়ার হত্যা ঘটনার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এব্যপারে মামলার বাদির সাথে কথা বললে উনি জানান, তারা আইনের শরনাপন্ন হয়ে মামলা দায়ের করেছেন ও এই হত্যার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানিয়েছেন এবং গ্রামবাসির সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় কনু মিয়ার মৃত্যুর খবর শোনে অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াহিদ এবং তাদের পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) ভোরে বাড়ি ছেড়ে এখন পলাতক আছে।