শিরোনাম
কুমিল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলার বাজার জটি গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পঞ্চদশ সমাজ কল্যাণ সংস্হার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ১৭ রামাদ্বান ঐতিহাসিক বদর দিবস মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন তাড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন ঘাটাইলে গণহত্যা দিবস পালিত বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বসতবাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন স্বাধীনতা দিবসে বীর শহিদদের প্রতি পুনাকের শ্রদ্ধাঞ্জলি “হৃদয়ে শ্রীমঙ্গল”-র উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ১২৫০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

চালু হলো বাংলাদেশের রক্ত দানের সোস্যাল নেটওয়ার্ক ভিত্তিক ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ।

Coder Boss / ৭৩১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

ফাহিম চৌধুরী,জয়পুর হাটঃ

সন্তান প্রসব বা দুর্ঘটনায় আহত, করুনা রোগীর প্লাজমা থেরাপিতে, ডেঙ্গু, ক্যান্সার, বা অন্য কোন জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্য, অস্ত্রোপচার কিংবা থ্যালাসেমিয়ার মতো বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। বিশ্বে প্রতি বছর ১১ কোটি ৭৪ লাখ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু প্রয়োজন অনেক বেশি। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে চাহিদার অনুপাতে রক্ত না পেয়ে বছরে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ মারা যান। আর করনা কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রম ৩২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের ১১ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে থাকে। তবে উচ্চ-আয়ের দেশ গুলোতে স্বেচ্ছা রক্তদানের হার প্রতি হাজারে ৩২.২% উচ্চ-মধ্য-আয়ের দেশগুলিতে ১৫.১% নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশগুলিতে ৮.১% এবং স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে ৪.৪% মানুষ রক্ত দিয়ে থাকেন। যা বিশ্বের জনসংখ্যার ১৬% মানুষ স্বেচ্ছা রক্ত দিয়ে থাকেন। ২০১৯ এর শেষের দিক থেকে করনা কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে রক্ত দানের পরিমান দিন দিন কমে চলেছে। ফলে রক্তে অভাব দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত জরিপে উঠে এসছে বছরে প্রায় চার লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। গেলো ২০১৯ সালে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ব্যাগে। ছয় বছরের ব্যবধানে দেশে রক্তের চাহিদা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। এর মধ্যে ৩৫-৪০ ভাগ পাওয়া যায় রোগীর নিকটজন থেকে, ১৫-২০ ভাগ স্বেচ্ছাসেবী থেকে ও ১৫-২০ ভাগ পেশাদার রক্ত-বিক্রেতা থেকে। বাকি ২০-২৫ ভাগ বা প্রায় ২.৫ লাখ ব্যাগ রক্তের ঘাটতি থেকে যায়। ঘাটতি ও অনিরাপদ রক্তের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪০ শতাংশ বা প্রায় পাঁচ লাখ। চাহিদার অনুপাতে রক্ত না পেয়ে বছরে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ মারা যান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত পেশাদার রক্তদাতারা কাছ থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ রক্ত সংগ্রহ করা হয় বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেশাদার রক্তদাতারা বেশির ভাগই মাদকসেবী। মাদকের টাকা জোগাড় করতে নিয়মিত রক্ত বিক্রি করে থাকে। মাদকসেবীদের রক্ত গ্রহণ করা বিপজ্জনক। এদের রক্তে থাকে হেপাটাইটিস, এইডস, সিফিলিসসহ নানা রোগের জীবাণু। এদের রক্ত নেয়ার পর রোগী প্রাণে বাঁচলেও পরে যে মারাত্মক রোগে ভোগেন । যা রোধের উপায় পরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য ২০২০ সালের মধ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে চাহিদার শতভাগ রক্তের সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং এই মহামারি চলা কালিন সময় রক্তের চাহিদার শতভাগ সরবরাহ নিশ্চির করতে এই অ্যাপ্লিকেশনের যাত্রা শুরু।

এই সাইট থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবেঃ- https://www.peyeci.com/apps

অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর সহ অন্যান্য প্লাটফর্ম গুলোতে খুব শীঘ্রই পাওয়া যাবে। এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে পাওয়া যাবে রক্তদাতার সন্ধান। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি রক্তদাতা (ডোনার) হিসেবেও যুক্ত হতে পারবেন, আবার রক্ত গ্রহীতা হিসেবেও যোগ দিতে পারবেন।

সার্চ বোতামে চাপ দেওয়ার পর একটি তালিকা দেখা যাবে কারা কারা ওই গ্রুপের রক্তদাতা আছেন। রক্তগ্রহীতা থেকে রক্ত দিতে ইচ্ছুক কে, কত দূরত্বে আছেন, তা–ও জানা যাবে। এরপর নিবন্ধনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে কাছে থাকা ব্যক্তিকে রিকোয়েস্ট বোতাম চেপে অনুরোধ জানানো যাবে রক্ত দেওয়ার জন্য। অনুরোধ পাওয়ার পর রক্ত দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে দাতা ও গ্রহীতা যোগাযোগ করতে পারবেন। শুধু তাই না এই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব , পরিচিতদের রক্ত গ্রুপ জানা যাবে এবং তাদের রক্ত দেওয়ার জন্য অনুরোধ পাঠানো যাবে । অনুরোধ পাওয়ার পর রক্ত দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে দাতা ও গ্রহীতা যোগাযোগ করতে পারবেন।

ওয়াল্ড ইউনির্ভাসিটি অব বাংলাদেশ এর বিজনেস ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্র আবির হোসাইন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এর ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্র আসাদুজ্জামান। এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিভাগের ছাত্র ফাহিম চৌধুরী। বোরহান উদ্দিন জামি ও  জোবায়ের আহাম্মেদ জানান ফেসবুক এবং অন্যান সোস্যাল মিডিয়া গুলোতে রক্ত দানের জন্য অনেক গ্রুপের এডমিন সেচ্ছাসেবী এবং সদস্য বিন্দু খুব সুন্দর ভাবে কাজ করছে। তারা অনেক পরিশ্রমী এবং সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই এখনো জানেন না কোথায় কোন কোন গ্রুপ কাজ করতেছে তাছাড়া ফেসবুকে পোস্ট করে রক্ত দাতা খুজে বের করা যায় কিন্তু এইটা অনেক সময় সাপেক্ষ বেপার। তাছাড়া তিনি আরো জানান রক্তের প্রয়োজনের সময় রক্ত গ্রহিতা এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হন।

তাই তারা পরিক্ষা মুলক ভাবে এপ্লিকেশনটি চালু করেন। যদি ভালো সফলতা আসে তাহলে আরো নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে বাংলাদেশের সকল ফেসবুক গ্রুপ যারা রক্তদানের জন্য কাজ করতেছে তাদের নিয়ে যৌথ ভাবে কাজ করতে চান এবং যৌথ ভাবে এ সমস্যার মোকাবেলা করতে চান।

সরাসরি এই ওয়েব সাইটে গিয়ে রক্তদাতা এবং গ্রহিতা হিসাবে যুক্ত হওয়া যাবেঃ-https://www.peyeci.com


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন