জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে অলিগলি বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ানো আনোয়ার (২৮) নামের এক প্রতিবন্ধীর পা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আনোয়ার জলিল মাহজনের বাড়িতে গিয়ে ঘুরাঘুরি করে চলে আসে প্রায় ৩০০গজ দুরে একটি দোকানে বারান্দায়। ভোরে ঘুম থেকে উঠে মাহাজনের ছোট ভাই জুড়ী বন্ধু লাইব্রেরির স্বত্তাধিকারী মাওঃ আব্দুল কুদ্দুস দেখেন তার মুরগী ধরার খারা (জাখা) নেই। খোঁজতে থাকেন আনোয়ারকে। খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে দোকানের সামনে ঘুমাতে দেখেন থাকে। তার গলায় চাপিয়ে ধরে ৫সুতি রড দিয়ে পিঠিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন আনোয়ারের বা পা। এলাকার স্থানীয় লোকজন আসলে পালিয়ে যান মাওঃ আব্দুল কুদ্দুস। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আব্দুল জলিল মাহজন। সাথে সাথে নিয়ে যান মুড়াউলের কবিরাজ বাড়িতে। জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন, বয়স আনুমানিক ২৮ কিংবা ৩০শের ধারপ্রান্তে হবে। প্রায় ১৮ বছর পূর্বে উপজেলার পূর্বজুড়ী ইউপির টালিয়াউরা গ্রামের আব্দুল জলিল (মাহাজন) ভাই কোন এক রেলষ্ট্যাশন থেকে নিজ বাড়ি টালিয়াউরায় নিয়ে আসেন ।
বসতবাড়ির কাজ, গরু চরানো, গাস কাটাসহ তার সাধ্যমত বিভিন্ন কাজ করতো। কিছু দিনপর আনোয়ার মানুষিক রোগে আরো ভেঙ্গে পড়ে। আর কারো সাথে ভাব জমাতে সক্ষম হয়নি, তাই বাড়ি ছেড়ে দোকানপাট রাস্তাঘাটে ঘুরতে ফিরতে শুরু করে। প্রায় মাঝে মধ্যে মালিকবাড়ির দোকানের সামনে/খড়ঘরে বস্তা মুড়ি দিয়ে রাত পার করতে থাকে। এবাবে চলছে আনোয়ারের মহা আনন্দের জীবন।
প্রতিবন্ধী থাকার সুবাদে টালিয়াউরা, বড়ধামাই ও গোয়ালবাড়ী এলাকার যুবক/বৃদ্ধ অনেকেই থাকে খাবার, জমাকাপড় ও মাঝে মধ্যে মাথার চুল ও হাত পায়ের নখ কাটিয়ে দেন। এদিকে, আনোয়ারকে পিঠিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় যুবক, বৃদ্ধ ও প্রবাসীরা। তাদের দাবি প্রতিবন্ধী আনোয়ারের উপর অত্যাচারকারী মাওঃ আব্দুল কুদ্দুসকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হউক