পরবর্তীতে খুজতে খুজতে ওই ছাত্রীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী আবুল মৃধার ধানের খৈলানে সিদ্দিক মীরার ঘরের পাশে বুধবার সকালে আয়শার একটি জুতা খুঁজে পান তার স্বজনেরা। ওই জুতার সূত্র ধরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম কাজল সহ অন্যরা সিদ্দিক, তার ছেলে সাব্বির (২০), সাইদ (১৪) ও স্ত্রী হনুফা বেগমকে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আয়শাকে মেরে লাশ বাড়ি সংলগ্ন খালে ডুবিয়ে দিয়েছেন বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেন। খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেখানো স্থানে খালে বানারীপাড়া ও বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল দিনভর তল্লাশি চালিয়ে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে আয়শার লাশ উদ্ধার করে। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের ঘটনা ঘটে। বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ, বানারীপাড়ার থানার ওসি শিশির কুমার পাল, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফর আহম্মেদ, লবণসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মো. মহসিন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, গ্রেফতারকৃতরা ওই ছাত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলেও কেন হত্যা করেছেন তা জানতে ব্যপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। ওই ছাত্রীর লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো ও এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান। এ দিকে স্থানীয়দের ধারণা ধর্ষণের পরে ওই ছাত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিলো।