শিরোনাম
মনপুরা কলাতলী শাখা সিডিপিএস ভোলা জেলা চর উন্নয়ন বসতি প্রকল্প বিনামূল্যে গবাদি পশুর ভ্যাকসিন বিতরণ করা হয় বরগুনায জমি নিয়ে বিরোধের জন্য মামলার বাদির মামার উপরে হামলা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে মহাসড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ রমজানে এতেকাফের ফজিলত অসহায়-বিপদগ্রস্তদের পাশে ‘হাজীপুর সোসাইটি কুলাউড়া’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করছেন হবিগঞ্জের ‘শাওন’ কুমিল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলার বাজার জটি গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পঞ্চদশ সমাজ কল্যাণ সংস্হার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ১৭ রামাদ্বান ঐতিহাসিক বদর দিবস
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

মনিরামপুরে ৪৪৯ বস্তা চাল পাচারের ঘটনায় যুবলীগনেতা আটক

Coder Boss / ২৩৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০

মোঃ রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধি: যশোরের মনিরামপুরে ৪৪৯ বস্তা চাল পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলা যুবলীগনেতা আব্দুল কুদ্দুস (৪০)কে ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। সে পৌরসভার জুড়ানপুন এলাকার আকবর আলীর পুত্র এবং পাতন-জুড়ানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ। জানাযায়, মণিরামপুর থানা পুলিশ গত ৪ এপ্রিলবিকেলে পৌর এলাকার বিজয়রামপুরে ভাই ভাই রাইস মিল এন্ড চাতালে অভিযান চালিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে সরকারী কাবিখার ৫৫৫ বস্তা চাল জব্দ করে।

এ সময় চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাক চালক ফরিদ হাওলাদার হাতেনাতে আটব হয়। সেখানে চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, সাংবাদিকসহ উপস্থিতিদের সামনে চাল পাচারের ঘটনায় সরকারী কর্মকর্তাসহ চাল বেচাকেনা সিন্ডিকেটের সদস্য কুদ্দুস, শহিদুল ইসলাম, অষ্টম দাস, জগদীশ দাস, দেবাশীষ দাসসহ জড়িত অনেক কুশিলবদের নাম প্রকাশ করেন। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম তার পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু চাল পাচারের ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ মিডিয়ায় তোলেন। অথচ পুলিশ বাদি হয় শুধুমাত্র চাতাল মালিক মামুন ও ট্রাকচালক ফরিদের নামে মামলা করে। পুলিশ ৫ এপ্রিল মামুন ও ফরিদকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়।

রিমান্ড শেষে ৭ এপ্রিল তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা বসুর আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক মামুন ও ফরিদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন, চাল পাচারের সাথে আরো জড়িত ছিলেন সিন্ডিকেট নেতা কুদ্দুস, শহিদুল ইসলাম, জগদিশ দাসসহ আরো দুইজন সরকারি কর্মকর্তা। এরপর মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ২১ এপ্রিল যশোর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপরদিকে সরকারি চাল আটক হবার পর পরই সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্নাকে খুলনায় বদলি করা হয়। মামুনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক চাল পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ মে রাতে ডিবি পুলিশের একটি টিম পৌরশহর থেকে সিন্ডিকেট নেতা শহিদুল ইসলামকে আটক করে। পরে শহিদুল ইসলাম ও জগদীশ দাস আদালতে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন, সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় তার সাথে জড়িত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও পাতন-জুড়ানপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যুবলীগ নেতা আব্দুর কুদ্দুস। প্রথম আটক চাতাল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্বীকারোক্তি মোতবেক জড়িত সিন্ডিকেটের প্রধান আদায়কারী জগদীশকে গত ২৮ শে জুন শনিবার বেলা ১২ টার দিকে মণিরামপুর থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। আটক জগদীশ দাস আদালতে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, ওই চাল বিক্রির সাথে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ও যুবলীগ নেতা আব্দুর কুদ্দুস জড়িত। তিনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওই তথ্য দিয়েছে।

 

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মদ জান্ন, আটক জগদীশকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসানের কাছে ১৬৪ ধারায় চাল চুরি সংক্রান্ত স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর আগে আব্দুল্লাহ আল মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। মামুনের মতো জগদীশও আদালতকে জানিয়েছে-আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে তিনি সরকারি ৫৫৯ বস্তা (১৬ টন) ৪লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। এরপর ৪ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ট্রাক চালক ফরিদের ট্রাকের মাধ্যমে চাল ডেলিভারি দেয়া হয়। এর আগে ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু ৩০ মার্চ চাল বিক্রির টাকা মামুনের কাছ থেকে নিয়ে নেন। চাল বিক্রির স্থান শাহিদুল ইসলাম নামে এক ভাই দেখিয়ে দিয়েছিল বলে তিনি আদালতে জানিয়েছেন।

 

রোববার রাতে নিজ রাড়ি থেকে চাল কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় সিন্ডিকেটের সদস্য যুবলীগ নেতা আব্দুর কুদ্দসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত আব্দুর কুদ্দুস ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কুদ্দুসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেয়া হতে পারে। চাল কালোবাজারে ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন