এম এ হালিম:
আজ কতো দিন যায়
দেখিনা তোমায়,
দেখিনা তোমার চোখজুড়ানো দৃশ্য
পাহাড় অটবি থরে থরে সাজানো
সবুজ পল্লবের মন জুড়ানো সুশ্রী।
কাটা পাহাড়ের পথ ধরে চলতে চলতে
সেই মায়াবী হরিণের চাহনি,
চাকসু ঝুপড়ী আর বুদ্ধিজীবে চত্তরে
সখাসখিদের আড্ডা।
চারটায় ক্লান্ত দেহে
পরিচিত অপরিচিতদের ভিড়ে,
শাটলে দাঁড়িয়ে –
চিত্তে যখন জেগে উঠে অস্বস্তি।
তখন কর্ণ কুঠিরে হঠাৎ!
মন ভুলানো সেই সখাসখির
প্রাণ উজার করে অস্বস্তির মাঝে
সুমিষ্ট তানে ভেসে ভেসে আসে,
সুখ বিচ্ছেদ ভালোবাসার
সেই পরিচিত অপরিচিত গানের তান।
আজ কতো দিন যায়!
কর্ণকুহরে যেনো পড়েছে
টেলিটক হিলের বাঁধা।
ক্যাম্পাসটা নেই আগের মত,
হয়তো কোথায় লেগেছে মরিচার ছোঁয়া।
বেলের মত শুষ্ক পথে জেগেছে আজ
পদচারণাহীন সবুজের উল্লাস।
রাতদুপুরে কোলাহল পূর্ণ আবাসিক হলে
তৈলপায়িকা আর জ্যৈষ্ঠীর অবাধ বিচারণ।
দলে দলে দ্বন্দ্বের নেই আজ কোনো শিহরণ।
ক্যাম্পাসটা আছে ঠিক আগের মতই
নেই শুধু কোলাহল পূর্ণ লোক গুলো।
যারা দিবানিশি বিচারণ করত
শিরা আর উপশিরায়।
আজ কতো দিন যায়
প্রিয় ক্যাম্পাসে পরে না পায়।
এই বর্ষায় মনোমুগ্ধকর অপরূপ
সৌন্দর্যের অন্যতম উৎস
চবরি ঝর্ণা।
যেখান সকাল সাঁঝে
থাকিত হাজারো পদচারণা।
সেই পথে ঘাটে রয়েছে বুঝি
কতো শত শৈবালের বাস।
অথচ ঝর্ণা চলছে নির্ঝর
নেই শুধু মানবের উল্লাস।
প্রকৃতি যেনো আজ সেজেছে
মুক্ত বিচরণে অপরূপ মায়ায়
পল্লীর রূপ ধারণ করেছে যেনো
শহরের অলিগলির ছায়ায়।
মুক্ত মনে কবে যে পাব?
আবারো-
আনন্দ উল্লাসে ঘুরতে ধরায়
চবি তুমি রয়েছো শুধু স্মৃতির পাতায়