বানিয়াচং( হবিগঞ্জ )প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের বানিয়াচংঙ্গে কমলা বিবি হত্যার ঘটনায় থানাকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দিলেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যাহ (বিপিএম, পিপিএম)। রোববার (২ আগস্ট ) দুপুর ১২টায় দেশমুখ্য পাড়ার নিহত কমলা বিবির বাড়ির সামনে এলাকার শত শত মানুষের উপস্থিতে তদন্তের পর ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বানিয়াচং থানার ওসিকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুলাই সকাল ১১ টায় নিহত কমলা বিবির পুত্রবধুর সাথে ঘাটে নৌকা বাঁধাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী লুকুর সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় লুকু গংরা পুত্রবধুকে ব্যাপক মারধোর করতে থাকে।
এ সময় লুকু গংদের হাত থেকে পুত্রবধুকে বাঁচাতে কমলা বিবি এগিয়ে আসলে তাকেও উপর্যপুরি কিল-ঘুষি মারতে থাকে লুকু গংরা। কিল-ঘুষি খেয়ে কমলা বিবি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এলাকাবাসী উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ওসি তদন্ত প্রজীত কুমার দাস, এস আই আব্দুছ ছাত্তার হাসপাতালে গিয়ে মহিলা পুলিশের সহায়তায় নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জে মর্গে প্রেরণ করেন।
কমলা বিবি হত্যাকান্ড নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া সরব হলে পুরো জেলাজুড়ে তোলপার সৃষ্টি হয়।
২৪ জুলাই নিহতের পুত্র এনায়েত হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেন। কমলা বিবি হত্যাকান্ডের ঘটনায় ময়না তদন্তের রিপোর্টের আগে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে বানিয়াচং থানা পুলিশ। এরপর ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি দেন এলাকাবাসী।
এরই প্রেক্ষিতে রোববার (২ আগস্ট) বানিয়াচং এসে ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে পুলিশকে কমলা বিবি হত্যার ঘটনায় মামলা নিতে নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার। তদন্তে এলাকার স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।