জাকির হোসেন, বরিশাল প্রতিনিধি বরিশালের উজিরপুরে বিধবা ভাতা বয়স্ক ভাতা মাতৃত্ত কালিন বা গর্ভবতি ভাতা জেলেদের কার্ড প্রদান ও ভিজিডি কার্ড প্রদানে অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ পাওয়া গেছে শান্তনা মল্লিক ওরফে শান্তি মল্লিক নামক এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য এবং পশ্চিম কালবিলা গ্রামের অমৃত মল্লিকের স্ত্রী। পশ্চিম কালবিলা গ্রামের হরেন মল্লিকের স্ত্রী মায়া রানী মল্লিক (৬০) অভিযোগ করেছেন তাকে একটি বয়স্ক ভাতা করে দিয়েছিলো শান্তনা মেম্বর, প্রথম বার ৬ হাজার টাকা পেলে সেখান থেকে জোর করে ৩ হাজার টাকা নিয়ে নেয় শান্তনা। কানাই মল্লিকের স্ত্রী শুশিলা মল্লিক (৭০) অভিযোগ তাকে বয়স্ক ভাতার বই করে দিলেও প্রথম তিনবার শান্তনা মেম্বর টাকা তুলে নেবে তারপরে আমাকে বই দেবে৷ খোকন মল্লিকের স্ত্রী বিজলী মল্লিক অভিযোগ করেছেন সে গর্ভবতি থাকা কালিন সময় শান্তনা মেম্বর নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে তাকে একটি মাতৃত্ব কালিন ভাতার বই করে দেন। নিরোধ মল্লিকের ছেলে প্রিয়লাল মল্লিক অভিযোগ করেছেন তাদেরকে একটি ঘর দেয়ার জন্য শান্তনা মেম্বর ২০ হাজার টাকা চেয়েছিলো,পরে তাকে নগদ ৬ হাজার টাকা দিতে হয়েছিলো৷ রতন মল্লিকের স্ত্রী পলাশী মল্লিক (৩৫) অভিযোগ করেছেন শান্তনা মল্লিক দুই কিস্তিতে মোট ১৭ হাজার টাকা নিয়ে তাকে একটি ঘর দিয়েছে। শংকর মল্লিকের স্ত্রী শ্যামলী রানী বলেছেন সে অন্যভাবে একটি ঘর পেয়েছিলো কিন্তু শান্তনা মেম্বর সেই ঘরের টোকেন আটকে রেখে তার থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়েছিলো। সঞ্জয় মল্লিকের স্ত্রী সীমা মল্লিক বলেছেন তাকে একটি গর্ভবতি ভাতার কার্ড দিয়ে নগদ ২ হাজার ৪ শত টাকা নেয় শান্তনা মেম্বর।
চিত্ত রঞ্জন মল্লিক (৭৩)অভিযোগ করেছেন যে, সে শান্তনা মেম্বরের চাহিদা মতো টাকা দিতে পারে নাই তাই সে বয়স্ক ভাতাও পায় নাই। ৮০ উর্ধ সোনাবালা মল্লিক অভিযোগ করে বলেছেন তিনিও শান্তনা মেম্বরকে টাকা দিতে না পারার কারনে ৩০ কেজী চাউলের ভিজিড কার্ডটি তাকে আর দেওয়া হয় নি। ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সম্পাদক প্রফুল্ল মল্লিক ও স্থানীয় শিক্ষক তপন মল্লিক অভিযোগ করে বলেছেন শান্তনা মেম্বর তার স্বামী অমৃত মল্লিক ও সুনিল মল্লিককে ভূমিহীন দেখিয়ে পশ্চিম কালবিলা মৌজার ৮৬/৯১ নং দাগের ৭৬ নং খতিয়ানের মোট ১ একর বিভিন্ন জনদের রেকর্ডিয় সম্পত্তি নিজেদের নামে ডিসিআর নিয়ে ভোগ দখলের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। সাবেক প্রধান শিক্ষক ও কালবিলা ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ব্রজেন্দ্র নাথ মল্লিক, নরেন্দ্র নাথ মল্লিক, ধীরেন মল্লিক, ভগিরত মল্লিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন গত ইউপি নির্বচনে গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ উৎফুল্ল হয়ে ভোট দিয়ে শান্তনাকে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য নির্বচিত করেছিলো, কিন্তু মেম্বর নির্বাচিত হয়ে শান্তনা ঘুশ দুর্নিতী করে গোটা কালবিলা গ্রামের সম্মান নষ্ঠ করেছে৷ সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে আমরা সকলে শান্তনার উপযুক্ত বিচার দাবী করছি। এ বিষয় হারতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডাঃ হরেন রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শান্তনা মেম্বরের নামে বিভিন্ন দুর্নিতী ও সেচ্ছা চারিতা করার অভিযোগ গ্রামের সাধারন মানুষ করেছে,তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে৷
অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য শান্তনা রানী মল্লিক তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের আনিত অভিযোগ সস্পর্কে বলেন সাধারন জনগন নিয়ে কাজ করতে হলে ক্ষেত্র বিশেষ টাকা পয়সার লেনদেন করতে হয়, এটা নতুন কিছু নয়৷ তার বিরুদ্ধে আনিত ঘুশ দুর্নীতির বিষয় তিনি ভিত নন এবং চেয়ারম্যানকে জানিয়েই তিনি সব কাজ করেছেন।