শিরোনাম
অসহায়-বিপদগ্রস্তদের পাশে ‘হাজীপুর সোসাইটি কুলাউড়া’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করছেন হবিগঞ্জের ‘শাওন’ কুমিল্লায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতক থানার দোলার বাজার জটি গ্রামের তুমুল সংঘর্ষ ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পঞ্চদশ সমাজ কল্যাণ সংস্হার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ১৭ রামাদ্বান ঐতিহাসিক বদর দিবস মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন তাড়াইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন ঘাটাইলে গণহত্যা দিবস পালিত বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের বসতবাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

লামায় রোড়ে মানা হচ্ছে না স্বাস্হ্যবিধি ভাড়াও নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ

Coder Boss / ৪৯৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৩ আগস্ট, ২০২০

 

লামা(বান্দরবান)প্রতিনিধিঃ

২৩ আগস্ট ২০২০ইং (রবিবার)সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় করােনা ভাইরাস সংক্রমণের বন্ধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে গণ পরিবহন চালানাের অনুমতি দেয় সরকার। সে জন্য যাত্রীবাহী গাড়ি গুলোর মালিকদের ক্ষতি পােষাতে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়।

এরপর বান্দরবানের লামা উপজেলার অভ্যন্তরীন ও বহি:সড়কে চলাচলকারী বাস, জীপ, সিএনজি, অটোরিকশা ও মাহিন্দ্রা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে চলছে গণ পরিবহনগুলাে। যদিও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।

জানা যায়, গত দু মাস ধরে লক ডাউনের দোহাই দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে পরিবহন কর্তৃপক্ষ। লামা বাজার থেকে মধুঝিরি পর্যন্ত টমটমের ভাড়া ছিল ৫ টাকা, বর্তমানে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০টাকা। লামা থেকে চকরিয়া বাসের ভাড়া ছিল ৪০টাকা, বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ৭০টাকা, জীপ গাড়িতে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। লামা থেকে বান্দরবান ভাড়া ছিল ১২৫ টাকা, বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। লামা থেকে চট্রগ্রাম ভাড়া ২৫০ টাকা, বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। লামা থেকে ঢাকার ভাড়া ছিল ৮০০ টাকা, বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ১৩০০ শত টাকা।

আরাে জানা যায়, একই ভাবে অন্যসব সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গুলােতেও নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। আবার কিছু কিছু সড়কে নেয়া দ্বিগুন ভাড়া। অথচ দূর পাল্লার যানবাহনের টিকেটে টাকা লেখা হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়া। করােনায় মানুষের আয় কমলেও ভাড়া বাড়ানোর কারণে যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে বলে জানান অনেকে। তাছাড়া জীবানুনাশক স্প্রে প্রয়ােগসহ স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নেরও তেমন উদ্যোগ নেই সংশ্লিস্টদের। এতে করােনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধিসহ পরিবহন সেক্টরে নৈরাজ্যের সৃষ্টি হয়েছে। যেসব গণ পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন ও অতিরিক্ত
ভাড়া আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা/প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ও রুট পারমিট বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

সরেজমিন লামা-রুপসীপাড়া, লামা-গজালিয়া, লামা-ক্যয়াজুপাড়া, লামা-আলীকদম ও লামা- চকরিয়া সড়কের বেশ কয়েকটি বাস, জীপ ও মাহিন্দ্রা গাড়িতে দেখা গেছে, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করে যাত্রী বহন করার কথা থাকলেও এসব সড়কে চলাচলকারী পরিবহনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। ৪০ সিটের বাসে ২০ জন যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও নেয়া হচ্ছে ৩০ জনের অধিক যাত্রী। কয়েক জনের মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। এছাড়া জীবাণু নাশক স্প্রে করার কথা থাকলেও তা করা হচ্ছেনা পরিবহনগুলােতে।

সৈয়দ আলম, মংশৈহ্লা মার্মা ও আবদুল করিম নামের তিন যাত্রী বলেন, আমরা আলীকদমের রেপার পাড়া বাজার থেকে মাহিন্দ্রা গাড়ি যােগে লামা বাজার আসছিলাম। আমাদের কাছ থেকে ৬০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। কারন জানতে চাইলে ড্রাইভার বলছে এটা নাকি নির্ধারিত। যাত্রী সােহেল,জসিম উদ্দিন, জহিরসহ অনেকে জানায়, আমরা লামা থেকে বাস গাড়ি যােগে চকরিয়া যাচ্ছি। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েও ভাড়া নির্ধারিত হারের চেয়ে অতিরিক্ত নেয়া হয়েছে।জীপ গাড়ি অর্ধেক যাত্রী নিলেও ভাড়া নিচ্ছে দ্বিগুন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দেখা উচিৎ। তবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযােগ অস্বীকার করে চকরিয়া-লামা-আলীকদম ও বান্দরবান বাস মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল হােসেন ও জীপ মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বলেন, লকডাউনের সময় প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়া ও বিধি মােতাবেক যানবাহন চলছে। প্রশাসনের নির্দেশনা পেলে কয়েক দিনের মধ্যেই ভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।

এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা
রশীদ সাংবাদিককে বলেন, গণ পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে যান বাহন মালিক পক্ষের সাথে বৈঠক হয়েছে, তারা ভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তিনদিন সময় চেয়েছেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে না আনলে, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাে. মােস্তফা জামাল জানান, লকডাউনের পূর্বে যে ভাড়া নির্ধারিত ছিল, সেটাই বহাল রাখতে গত বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত পরিবহন সেক্টরগুলােকে ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন