রাজা মিয়া বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে এমপি মোকাব্বির খানের গাড়িতে ঢিল ছোড়ায় ৫ জনকে আসামি করে দ্রুতবিচার আইনে মামলার চার্জশিট করেছে থানা পুলিশ।গত ২০ আগস্ট থানার ওসি শামীম মূসা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত রমা প্রসাদ চক্রবর্তী স্বাক্ষরিক ওই চার্জশিট খানা কোর্টে দাখিল করা হয়। অভিযোগ পত্র নং-১২৭। চার্জশিটে (অভিযোগপত্রে) ৫ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। তারা হচ্ছেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিশ্বনাথ নতুনবাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি শামীম আহমদ (৪০), শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (৪৫), দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দবির মিয়া (৪০), উপজেলা যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান সেবুল (৪০) ও শ্রমিক নেতা জুনাব আলী (৪২)। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ককটেলসদৃশ্য বস্তু বা ককটেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গত ১০ আগস্ট পুলিশের উপস্থিতিতে এমপির গাড়িতে হামলার ঘটনায় ১১ আগস্ট ওই ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় দ্রুতবিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন এমপির এপিএস অসিত রঞ্জন দেব (৩৫)। মামলা নং-১০/১৫৯। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি রাখা হয় আরও ২৫-৩০ জনকে। ওই মামলায় ১১ আগস্ট রাতে গ্রেফতার হন যুবলীগ নেতা দবির মিয়া। তবে মামলার এজাহারের সাথে এমপি মোকাব্বির খানের মৌখিক বক্তব্যের কোনো মিল ছিল না। তিনি ১০ আগস্ট মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একজনের নাম উল্লেখ করে বলেন- তার গাড়িতে শামীম আহমদ একটি ঢিল নিক্ষেপ করেছে। এমপির এই বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়েছে।মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন- ওই দিন এমপির গাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীরা বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাল স্কচটেপে মুড়ানো ককটেলসদৃশ কৌটা দিয়ে ঢিল মারা হয়েছে। ফলে এমপিকে বহনকারী গাড়িটির গ্লাস ফেটে যায়।তবে মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ককটেলসদৃশ্য বস্তু বা ককটেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলার এজাহারের সাথে এমপির বক্তব্যের মিল না থাকায় ও তদন্তে ককটেলসদৃশ্য বস্তু না পাওয়ায় জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।