মৌলভীবাজার বিশেষ প্রতিনিধি।
প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা মৌলভীবাজার চায়ের রাজধানী এবং পর্যটন শিল্পে সমৃদ্ধ। এ জেলায় উৎপাদিত খাদ্য নিজেদের চাহিদা পুরন করে দুই তৃতীয়াংশ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষের চাহিদা পুরনে অবদান রাখছে। অথচ এ জেলা ছিলো বি ক্যাটাগরির।
২০০৪ সালে মৌলভীবাজার এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত হাওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রী পরিষদে পাস হয়। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছরেও তা গ্যাজেট হয় নি। মন্ত্রী পরিষদে ফাইল বন্দি থাকে মৌলভীবাজার এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত হাওয়া অধরাই থেকে যায়। বিগত ১৬ বছর থেকে কেউই এ বিষয়ে অগ্রসর হয়ে লক্ষ্যে পৌঁছাতে চায় নি। আমি এমপি হওয়ার পর প্রথম লক্ষ ছিলো মৌলভীবাজারকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত করা। সেলক্ষ্যে মৌলভীবাজারে আরো একটি উপজেলা করার প্রস্তাব মহান জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করি। উপজেলার ক্যাটাগরি প‚র্ণ করে মৌলভীবাজার কে এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত করা কঠিন ছিলো। তাই বিকল্প পথের সন্ধানে থাকি। এক পর্যায়ে সচিবালয় থেকে জানতে পারি মৌলভীবাজার জেলা এ ক্যাটাগরিতে উন্নতি হাওয়ার প্রস্তাবটি ২০০৪ সালে মন্ত্রী পরিষদে পাস হয়েছিলো। কিন্তু গ্যাজেট ভুক্ত হয় নি।
তখনই আমি মৌলভীবাজার জেলাকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত হওয়ার প্রস্তাবিত বিল গ্যাজেট ভুক্ত করার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করি। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে মৌলভীবাজার জেলা এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত হওয়ার প্রস্তাবিত বিল গ্যাজেট ভুক্ত করতে সক্ষম হই। এখন মৌলভীবাজার জেলা এ ক্যাটাগরির জেলা হিসেবে সকল সুযোগ সুবিধা উপভোগ করবে।
এ জেলাকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত করার প্রস্তাবিত পাস বিল গ্যাজেট ভুক্ত করতে সচিবালয়ে বারংবার ধরনা দিয়েছি। আর এতে আমাকে সহযোগিতা করেছে আমার ছোট ভাই লন্ডন প্রবাসী জহির। তার মাধ্যমেই আমি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব জনাব মোঃ শফিউল আলম সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করি। তিনি তার পরিচিত ছিলেন। শফিউল আলম সাহেব কাজটি করে দেবেন বলে আস্বস্ত করে অবসরে চলে গেলে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব হিসেবে নিয়োগ পান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আমি তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে মৌলভীবাজারকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত পাস হওয়া বিল গ্যাজেট ভুক্ত করার বিষয়ে কথা বলি। তিনি বলেন স্যার ফাইল টি উপরে রেখে গেছেন। আমি এই কাজটি সম্পন্ন করবো। তারপর সম্পন্ন হলো মৌলভীবাজার জেলাকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত করার গ্যাজেট।
মৌলভীবাজার জেলাকে এ ক্যাটাগরিতে উন্নিত করার পাস হওয়া বিল গ্যাজেট ভুক্ত করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই আমার নেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ শফিউল আলম সাহেবকে এবং মুখ্য সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামকে। এছাড়াও এ কাজে সহযোগিতা কারী সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দীন
সংসদ সদস্য
সংরক্ষিত মহিলা আসন
মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ।