বরিশাল জেলা প্রতিনিধিঃ
বরিশালের-বানারীপাড়া- স্বরূপকাঠী মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গার পুরাতন ও ঝুকিপূর্ন বেলীব্রীজ পূর্ননির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক ও জনপথ মন্ত্রনালয়। তারই ফলাস্রুতিতে বানারীপাড়া উপজেলার ৭৫ নং মাছরং মৌজার বেলী ব্রীজটিও নির্মানের আওতাধীন হওয়ায় জন্য ইতি মধ্যে সেখানকার মাটি পরীক্ষা করা হয়। ব্রীজটি ঝুকিপূর্ন থাকায় পূর্ন নির্মানের সংবাদে এলাকাবাসীসহ জনসাধারন স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু যেখান থেকে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং বর্তমানে যেখানে ব্রীজটি রয়েছে সেখানে ব্রীজ নির্মান না করে সওজ কর্তৃপক্ষ ৬০/৭০ গজ পূর্বে ব্রীজ নির্মানের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ঐ গ্রামের নলিনী সরকারের বাড়ির ৬ টি সমাধী ও ২ টি বাড়ি পুরো ধ্বঃস হবে। সরেজমিনে গেলে নলিনী সরকার ও তার পরিবার আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেন ব্রীজের সামনে ও পাশে আমাদের ৯ শতক জমি রয়েছে, সেই জমি গেলে ও আমাদের কোন সমস্যা নেই কিন্তু সেখানে ব্রীজ না করে নির্ধারিত জায়গা থেকে পূর্ব দক্ষিনে সরে এসে সওজ কর্তৃপক্ষ ব্রীজ নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলে আমার বাবা মা, ভাই ভাইর বৌ সহ আত্নীয় স্বজনের ৪ টি পাকা ও ২ টি কাচা সমাধি বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে এক জায়গা থেকে কিন্তু ব্রীজ নির্মানের সিদ্ধান্ত হয় অন্য জায়গায় এবং সমাধির উপর থেকে। বর্তমানে যেখানে ব্রীজটি আছে সেখানে কিংবা কিছুটা আগ পিছ করে ব্রীজ নির্মান করলে কারো ও তেমন কোন ক্ষয় ক্ষতি হবে না। কিন্তু কেন, কিসের প্রয়োজনে বা কাদের সুবিধার্থে আমাদের এত বড় ক্ষতি করে ব্রীজ নির্মান হবে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। ইতিপূর্বে তারা যথাযত কতৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করলে পৌরসভা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু অদ্যবধি ঐ তদন্তের রিপোর্ট কি হয়েছে বা আধৌ কোন তদন্ত হয়েছে কিনা তা ভুক্তভোগীরা জানতে পারেনি। তাই নলিনী সরকার ও তার পরিবারের জোড় দাবী সমাধির উপর থেকে ব্রীজটি না করে একটু আগ পিছ করে ব্রীজটি নির্মান করলে তার বাবা মায়ের শেষ স্মৃতি চিহ্ন টুকু রক্ষা পাবে।