রাকিবুল হাসান সুমন, যশোর জেলা প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুরে টেলিভিশনে সিরিয়াল দেখাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষন্ড স্বামী। নিহতের বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (মণিরামপুর সার্কেল) সোয়েব আহমেদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে উপজেলার পাঁচবাকাবর্শী গ্রামের সাইফুল ইসলাম ওরফে মনার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২০) টেলিভিশনে সিরিয়াল দেখছিল। হঠাৎ সিরিয়াল দেখাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গোলযোগ সৃষ্টি হয়। এরই একপর্যায়ে স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে থাকা ধারালো দা দিয়ে শয়ন কক্ষের বিছানার উপর গলা কেটে স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনকে হত্যা করে। বৃষ্টি খাতুন গর্ভবতী বলে পুলিশ ধারণা করছেন। খবর পেয়ে ওই রাতেই কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ হেফাজতে নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বৃষ্টি খাতুনের স্বামী সাইফুল ইসলাম ওরফে মনা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অভিযান পরিচালনা করে জড়িত সন্দেহে ওই গৃহবধূর স্বামীকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজলে রাব্বী মোল্লা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামী সাইফুল ইসলাম মনার স্বীকারোক্তি ও তার দেখানো মতে আসামীর বসতবাড়ির নিকটবর্তী পুুকুর হতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, পারিবারিক কলহ ও টেলিভিশনে সিরিয়াল দেখাকে কেন্দ্র করে সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। সাইফুল ইসলামকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা উপজেলার চিংড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।