জুড়ী প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের জুড়ীতে তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারী কলেজ মাঠে চলতি মো. শাহাব উদ্দিন এমপি প্রাইজমানি ক্রিকেট লীগের অাজ দিনের ২য় খেলা ছিলো শাপলা স্পোর্টিং বিশ্বনাথপুর বনাম হামিদপুর স্পোর্টিং ক্লাব এর মধ্যকার। এ খেলায় শাপলা স্পোর্টিং ক্লাবের উদিয়মান অলরাউন্ডার হোসাইন অাহমেদ(২০) বেলা সাড়ে ১২টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে অংশগ্রহন করতে মোটরবাইক নিয়ে তড়িঘড়ি করে ছুটছিলেন। মোটরবাইক নিয়ে মাঠের নিকটস্থ কালভার্ট অতিক্রম করে হোসাইনের বাইকের সাথে অপর দিক থেকে অাসা একটি টাটা এক্সেল পিকাপ ভ্যানের মুখোমুখি মারাত্মক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে হোসাইনের বাইকটি গাড়িটির নীচে ঢুকে দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে হোসাইন মারাত্মকভাবে অাহত হন। দুর্ঘটনার কথা শোনামাত্র ছাত্রলীগের হুমায়ুন, কিবরিয়া ও মাহবুবের নেতৃত্বে একদল তরুণ সেখানে গিয়ে অাহত হোসাইনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ অাব্দুল অাজিজ মেডিকেলে নিয়ে অাসে। তাদের ভাষ্যমতে উদ্ধারের সময় হোসাইনের শ্বাস প্রশ্বাস চলছিলো। অাজিজ মেডিকেলে ঢুকার পূর্বমুহূর্তে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। তারপর অাজিজ মেডিকেল থেকে হোসাইনের নিথর দেহ সিএনজি যোগে উপজেলা সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তারা তার নাড়ি পরীক্ষা করে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত হোসাইন আহমেদ জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউপির হাসনাবাদ গ্রাম নিবাসী উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমান এর ভাতিজা, মরহুম মুক্তাদীর আলীর ২য় পুত্র। কিছুদিনের মধ্যেই তার আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিলো।
এদিকে, এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নিহতকে দেখতে জুড়ী সরকারী হাসপাতালের অাঙিনা লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। হাসপাতালে উপস্থিত হন সাধারণ মানুষ থেকে জনপ্রতিনিধি, মাঠে থাকা উভয় টীমের খেলোয়ার, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা ও কোয়াব নেতৃবৃন্দ। হাসপাতালের বেডে হোসাইনের রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি অনেকেই। নিহতের স্বজনের কান্নায়, বন্ধু বান্ধব ও পরিজনদের শোকে জুড়ীর আকাশ বাতাস যেন আজ ভারী হয়ে উঠেছে। আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদৌসের আলা মাকাম নসিব করুন এবং পরিবার পরিজন সহ গুণগ্রাহী সকলকে সবরে জামিল আতা ফরমান এই ফরিয়াদ দয়াময় মাবুদের দরবারে মনেপ্রাণে।