মৌলভীবাজার বিশেষ প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপির অন্তর্ভুক্ত ৪নং ওয়ার্ডের ইকবাল হোসেন নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) শ্রমিকদের টাকা উত্তোলন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এনিয়ে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন হবিগঞ্জ বরাবরে গত- ৮ ফেব্রæয়ারি ইজিপিপি প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কর্তৃক অভিযোগ প্রদান হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে- অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি চালু হবে বলে প্রচার করে শ্রমিকদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সংগ্রহ করে ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায় শ্রমিক তালিকা করা হয়। পরে নবীগঞ্জ পিআইও অফিসে জমা দিয়ে প্রত্যেক শ্রমিকদের নামে আউশকান্দি বাজার সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি করে ব্যাংক হিসাব খুলা হয়েছে। তবে ইজিপিপি প্রকল্পে ব্যাংক একাউন্ট থেকে শ্রমিকদের যার যার টাকা নিজেরা উত্তোলনের নিয়ম থাকলেও কোনো শ্রমিকের দস্তখত, টিপসহি ছাড়াই টাকা উত্তোলন করেছেন ইউপি সদস্য নিজেই। এমনকি ব্যাংক হতে টাকা উত্তোলনের কোনো বিষয়ে শ্রমিকরা অবগত নেই। এভাবেই শ্রমিকদের অগোচরে লোকচক্ষু ফাঁকি দিয়ে বিগত ২০১৬/১৭-১৭/১৮-১৮/১৯-১৯/২০ বছরের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করিয়াছেন ইউপি সদস্য। তবে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে শ্রমিক কর্তৃক লিখিত অভিযোগ করলেও এখন পযর্ন্ত এর কোনো সুরাহা হয়নি।
জানা যায়- অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্পটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি। অধিকতর সচ্চতা ও জবাবদিহিতার লক্ষে ইতিপূর্বে ২০১২-১৩ সালে সরকার মৌসুমি দরিদ্র বেকার পুরুষ মহিলা অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেন। শ্রমিকরা যাহাতে বছরে মোট ৮০ দিন কাজে অংশ গ্রহণ করে বেকারত্ব অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে পরিবারের সদস্যগনের মুখে খাবার তুলে দিতে পারেন। শ্রমিক ব্যতীত যাহাতে কেউ অসৎভাবে ব্যাংক থেকে মজুরি উত্তোলন করতে না পারে, তার জন্য শ্রমিকদের মজুরির টাকা ১০০%ভাগ নিশ্চয়তার জন্য প্রত্যেক শ্রমিক নিজেদের নামে ব্যাংকে হিসাব খুলার নির্দেশও রয়েছে।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন- আমার এলাকায় ইজিপিপি প্রকল্পের আওতায়ধীন যেসকল শ্রমিকরা কাজ করেছে তারা নিজেরাই কাজ শেষে প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করিয়াছে। এবং আমার বিরুদ্ধে কোনো শ্রমিক অভিযোগ করেছে আমার জানা নেই।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে জানান যে, ৪নং ওয়ার্ডের কোনো অভিযোগ আমার কাছে এখনও আসে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।