অনলাইন ডেস্কঃ
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সিলেবাসে ঢুকল রামায়ণ, মহাভারত, রামচরিত মানস। রামচন্দ্রের চরিত্র ও তাঁর সমসাময়িক কাজ এখনকার ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের পক্ষে খুব প্রয়োজনীয়, দাবি উচ্চ-শিক্ষামন্ত্রী মোহন যাদবের। পাশাপাশি এমবিবিএসের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে কেশব বলিরাম হেগড়ে থেকে শুরু করে দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জীবনী, জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী বিশ্বাস সারং।
মোহন যাদব আরও বলেন, “যে কেউ ভগবান রামের চরিত্র এবং তাঁর কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে, সে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স থেকেও তা জানতে পারে” । তাঁর দাবি, “নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির আওতায় এগুলি রয়েছে, সেই ভবনা থেকেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।” উচ্চশিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের স্টাডি বোর্ডের শিক্ষকরা NEP 2020 অনুযায়ী সিলেবাস তৈরি করেছে যদি আমরা আমাদের গৌরবময় ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসতে পারি, তাতে কারও কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়।” একজন আবার লেখেন, ‘ এটি একটি চমৎকার প্রচেষ্টা। যদি আমরা বেদ, উপনিষদ, রামায়ণ, মহাভারতের প্রাথমিক বার্তা, স্বামী বিবেকানন্দ এবং শ্রী অরবিন্দের মতো মণীষীদের লেখা আমাদের সমৃদ্ধ করে” । কেউ আবার সমালোচনা করে লেখেন, ‘এসব তো আমরা ছোটবেলায় স্কুলেই পড়ে এসেছি। প্রযুক্তি শিক্ষায় আবার এই সব কেন !’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘ রামায়ণ, মহাভারত, রামসারিত ৮ থেকে ১২ ক্লাসে এবং আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স ডিগ্রিতেই শিখছে, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিতে এটা প্রয়োজনীয় নয়।’
এই ঘোষণার পরই, ট্যুইটারে নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ শিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। তাঁদের মতে, দেশের তরুণদের মহাভারত এবং রামায়ণ পড়তে উৎসাহিত করবে এই পদক্ষেপ। অন্যরা প্রশ্ন তোলেন, দুটি মহাকাব্য পড়ে ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মজীবনে কী কাজে লাগবে। কেউ কেউ আবার বলেন, বই পড়া, না পড়া ব্যক্তিগত ইচ্ছের বিষয়।
মধ্যপ্রদেশ দেশের রাজ্যগুলির প্রথম,যারা NEP কে স্কুলের পাশাপাশি কলেজের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।