স্পোর্টস ডেস্ক:
ইংল্যান্ডের পাশাপাশি সেমিতে চলে গেল অস্ট্রেলিয়াও। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আপ্রাণ চেষ্টা করেও সেমিফাইনালে উঠতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার(০৬ নভেম্বর) তারা প্রথমে ব্যাট করে ১৮৯-২ তুলেছিল। নেট রান রেটের বিচারে সেমিফাইনালে উঠতে গেলে তাদের ইংল্যান্ডকে ১৩১ রানের মধ্যে আটকে রাখতে হত। সেই কাজে অসফল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে গিয়ে ১৭৯-৮ স্কোরে থামে ইংল্যান্ড। কাগিসো রাবাডার হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে ১০ রানে জিতলেও দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও লাভ হল না। ইংল্যান্ডের পাশাপাশি সেমিতে গেল অস্ট্রেলিয়াও। এই বিশ্বকাপে প্রথম বার হারল ইংল্যান্ড। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের ফিল্ডিংও দর্শনীয়। ৭ ডিসেম্বর, ২০১২ সাল পর্যন্ত দলটি ৯২৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলে। তন্মধ্যে দলীয় পরিসংখ্যান হচ্ছে ৩৩১ জয় (৩৫.৬৩%), ড্র ৩৩০ (৩৫.৫২%) এবং পরাজয় ২৬৮ (২৮.৮৫%)।২৮ আগস্ট, ২০১১ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে ৬৫০জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন।
২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সুপার এইট পর্যায়ে অংশগ্রহণের পূর্বে ইংল্যান্ড ৪৬৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইংল্যান্ডের জয় ২২৪ (৪৮.২৮%), টাই ৪ (০.৮৬%), ফলাফল হয়নি ১৫টি (৩.২৩%) এবং পরাজয় ২২১টি (৪৭.৬৩%)। ২৮ আগস্ট, ২০১১ তারিখ পর্যন্ত ২২২ জন খেলোয়াড় ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলায় অংশ নিয়েছেন।
টসে জিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক অইন মর্গ্যান ফিল্ডিং নেওয়ায় কিছুটা সুবিধাই হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। বড় রান তোলাই ছিল তাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সফলও হয় তারা। ১৫ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিক্সকে হারালেও দুরন্ত খেলছিলেন কুইন্টন ডি’কক এবং রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। দু’জনেই চালিয়ে খেলে বড় রান তোলার লক্ষ্যে মন দিয়েছিলেন।
২৭ বলে ৩৪ করে ডি’কক ফেরার পর ডুসেনকে যোগ্য সঙ্গত দেন এইডেন মার্করাম। তিনি শনিবার ২৪ বলে অর্ধশতরান করেন, যা কেএল রাহুলের পরে এ বারের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় দ্রুততম। উল্টোদিকে এক একসময় মার্করামকেও ছাপিয়ে যাচ্ছিলেন ডুসেন। অল্পের জন্য শতরান পাননি তিনি। ৬০ বলে ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন। মেরেছেন ৫টি চার এবং ৬টি ছয়। ২৫ বলে ৫২ করে অপরাজিত থাকেন মার্করাম।
ইংল্যান্ডও শুরুটা করেছিল ভাল ভাবে। তবে ব্যক্তিগত ২০ রানের মাথায় রান নিতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান ধরে জেসন রয়ের। তিনি অবসৃত আউট হন। তিনে নেমে মইন আলিও ২৭ বলে ৩৭ রানের ঝোড়া ইনিংস খেলে যান। উল্টোদিকে থাকা জস বাটলারও ২৬ রানে ফিরে যান। এই সময় কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়েছিল ইংল্যান্ডের রান তোলার গতি। কিন্তু লিয়াম লিভিংস্টোন (২৮) এবং দাভিদ মালানে (৩৩) ফের ইংল্যান্ডের রান তোলার গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দেন। কাগিসো রাবাডাকে একটি ওভারে পরপর তিনটি ছক্কা মারেন লিভিংস্টোন। দ্বিতীয় ছক্কাটির পরেই দক্ষিণ আফ্রিকার সব আশা শেষ হয়ে যায়।