স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় ৩৩ বছরের প্রিয় কর্মস্থল বাহুবল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে অবশেষে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিলেন সিনিয়র ও সম্মানিত শিক্ষিকা জবা কর।
তিন অক্ষরের ছোট্ট একটি শব্দ-বিদায়।কিন্তু
মাত্র তিন অক্ষরের শব্দটির আপাদমস্তক বিষাদে ভরা। শব্দটা কানে আসলেই যেকোন মানুষেরই মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে।
জবা কর ১৯৮৭ সালে প্রথম পা রেখেছিলেন বাহুবল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়।চোখের পলকে একে একে চলে গেলো ৩৩ বছর।এখন শুধু স্মৃতি শিক্ষিকা জবা কর-এর বিদ্যালয়ের এই মধুর প্রাঙ্গণকে ঘিরে । ডেইলি সিলেট নিউজ24’কে জবা কর বলেন,’ “চিরন্তন সত্য হলো;কোন কিছু শুরু করতে হলে,কোন কিছুকে বিদায় দিতেই হয়”
মানুষের অনুভূতিগুলি সর্বদা শুদ্ধ ও আলোকিত থাকে দুটি সময়ে-
(ক) বরণের সময়।
(খ) বিদায়ের সময়।
শুরুর শিল্পটি সুন্দর,তবে শেষের শিল্পটি আরও দুর্দান্ত।তবে আমার গল্পটা অনেকটাই গর্বের।
আমার’ই দেবরজী এবং ছাত্রী মনিষা দেব তান্নী কে বড়ইউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পারস্পরিক বদলী করে নিজের পদে পদায়ন করে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে ছুটি জানালাম ‘।
কষ্ট তো অবশ্যই লাগবে।এতোটা বছর কাটিয়েছি এ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। সবকিছুরই নিয়ম আছে ও নির্দিষ্টতা রয়েছে।আমি সেই নিয়মেই প্রিয় কর্মস্থল ও সহকর্মীদের বিদায় জানালাম। আশাকরি আমার মেধাবী ছাত্রী ও আধুনিক যুগের একজন শিক্ষিকা মনিষাও তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে আমার মুখ উজ্জ্বল করবে।
বাহুবল আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক,শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার অবসরের সময়ে এমন বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য ।ভাল থাকুক আমার প্রিয় কর্মস্থল ক্যাম্পাস,ভাল থাকুক আমার প্রিয় কলিগরা,অতীত ও বর্তমানের সকল ছাত্র-ছাত্রীরা ‘।
নবনিযুক্ত মনিষা দেব তান্নী ডেইলি সিলেট নিউজ24’কে বলেন,’ ম্যাডাম সর্বদা আমার অন্তরে বাস করবেন,কারণ জীবনের সেরা শিক্ষা উনার কাছ থেকেই পেয়েছি।তাই আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করি। পরিশেষে বলতে চাই ” বিদায় কেবলমাত্র তাদের জন্য যারা তাদের চোখের দেখা ভালোবাসেন।কারণ যারা হৃদয় ও প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন তাদের জন্য বিদায়ের মতো
কোন জিনিসই নেই । ”