শিরোনাম
আমার কাজের প্রতি চুনারুঘাটবাসীর আস্থা আছে; ব্যারিস্টার সুমন দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার অমিত দাস শিবুর মরদেহ উদ্ধার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানে পুনাকের বার্ষিক বনভোজন উদযাপন জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

সাতক্ষীরায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বড় বাঁধা জলাবদ্ধতা

Coder Boss / ১৯২ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১

শেখ অাবুমুছা সাতক্ষীরা:

 

রাখাল ছেলে কবিতায় কবি জসীম উদ্দীন সরষে ক্ষেতের বন্দনা করেছেন এভাবে-‘আমার সাথে করতে খেলা প্রভাত হাওয়া ভাই/সরষে ফুলের পাঁপড়ি নাড়ি ডাকছে মোরে তাই।…সরষে বালা নুইয়ে গলা হলদে হওয়ার সুখে/মটর বনে ঘোমটা খুলে চুম দিয়ে যায় মুখে।’ ক’দিন আগেও সাতক্ষীরা মাঠ জুড়ে শোভা ছড়াচ্ছিল হলুদ রঙের সরিষা ক্ষেত। আদিগন্ত মাঠে কাচা হলুদের রঙে প্রকৃতির আলপনায় আঁকা সরিষা ক্ষেত দেখে প্রাণ জুড়াতেন আমন হারা কৃষক। সেই স্বপ্নের সরিষা ক্ষেত আজ বিবর্ণ। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে হেমন্তের আকাশ থেকে ঝরা বৃষ্টিতে নান্দনিক সেই সরিষা ক্ষেত এখন বিবর্ণ প্রতিচ্ছবি। জলাবদ্ধতায় সাতক্ষীরার বিলের পর বিল ডুবে আছে। এসব বিলের উঁচু জমিতে চাষ হতো সরিষা, মসুর, মটরশুটি, খেসারীসহ নানা জাতের ফসল। বিগত কয়েক বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে বিলগুলোতে আমন চাষ তো হচ্ছেই না, সেই সাথে হচ্ছে না সরিষাসহ অন্যান্য ফসলও।

কৃষি বিভাগের সূত্রমতে, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর সাতক্ষীরা জেলায় ১হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও জলাবদ্ধতার কারণে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এনিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন জেলার কয়েক হাজার সরিষা চাষী। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের চেয়ে চলতি বছর ১হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবছর হেক্টর প্রতি গড় ১৪০ মেট্রিকটন ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জেলার সাত উপজেলার ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবং সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭হাজার ৫০০মেট্রিকটন। এর ভিতরে সাতক্ষীরা সদরে ৩হাজার ৬৪০হেক্টর জমিতে ৫হাজার ৯৬মেট্রিকটন, কলারোয়ায় ৬হাজার ৬২০হেক্টর জমিতে ৯হাজার ২৬৮ মেট্রিকটন, তালায় ৫০০হেক্টর জমিতে ৭০০মেট্রিকটন, দেবহাটায় ৯৭০হেক্টর জমিতে ১হাজার ৩৫৮মেট্রিকটন, কালিগঞ্জে ৪৯০হেক্টর জমিতে ৬৮৬ মেট্রিকটন , আশাশুনিতে ২১০হেক্টর জমিতে ২৯৪মেট্রিকটন ও শ্যামনগরে ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮মেট্রিকটন। তবে ইতোমধ্যেই জেলার ১০হাজার ৭৭২ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। তবে জলাবদ্ধতার কারনে জেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা এখনো সরিষা আবাদ করতে পারেন নি। কৃষকরা যদি নির্ধারিত সময়ের ভিতরে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন করতে সক্ষম হন তাহলে এবছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তবে গতবছর জেলার সাতটি উপজেলার ১১হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২হাজার ২৭৫হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারন হিসেবে সেসময় জলাবদ্ধতাকে দায়ী করেন সাতক্ষীরা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তবে গত বছরের চেয়ে এবছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এবারও বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে জলাবদ্ধতা।

আর এমনটি হলে গতবছরের মতো এবছরও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন কৃষকেরা। তবে নির্ধারিত সময়ের ভিতরে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন করা সম্ভব হলে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ জমিতে সরিষার বীজ কেবলমাত্র ফুঁটতে শুরু করেছে। আবার অনেক এলাকায় হলুদের চাদরে ঢাকা বিস্তৃত ফসলের মাঠ। তবে অপরিকল্পিত ঘেরের বাঁধসহ খাল দখলের কারনে অনেক এলাকায় কৃষকরা জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের উপায় না পাওয়ায় এখনো পর্যন্ত সরিষা আবাদ করতে পারেননি। এতেকরে জলাবদ্ধতা এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন বলে জানান। এসময় তারা জানান, জলাবদ্ধতার কারনে গতবছরের মতো এবছরও সরিষা চাষে বিলম্ব হয়েছে। এখনও অনেক জমিতে বীজ মাত্র ফুটে উঠেছে। আবার অনেক বিলের পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। এতে করে সরিষার চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। খালগুলের বিভিন্ন স্থানে ভরাট ও দখলের কারণে পানি নিস্কাশনে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন তারা। এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ি) সাতক্ষীরা’র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: নুরুল ইসলাম জানান, গতবছর জেলায় সরিষা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে। তবে একদিকে করোনার সংক্রমণ অপরদিকে চলতি বছরে বিভিন্ন দুর্যোগসহ জলাবদ্ধতার কারনে জেলার ৯ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছিলো। তবে চলতি বছর সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের চেয়ে ১হাজার হেক্টর জমি বৃদ্ধি করা হয়েছে। যদি নির্ধারিত সময়ের ভিতরে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশন করা সম্ভব হয় তাহলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা আবাদ হবে বলে জানান তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষে অধিক ফলন পাওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। ফলে দিনে দিনে লাভজনক ফসল হিসেবে সরিষার কদর বেড়েছে জেলার কৃষকদের কাছে। অনুকূল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যা পেলে এবছর সরিষার ফলন উৎপাদিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

বিভাগের খবর দেখুন