শিরোনাম
জৈন্তাপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী’র স্টল পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান  রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণে ইমামগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন-জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান ছাতকে সেবা ব্লাড ফাউন্ডেশন ইসলামপুর ইউপি’র উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ৮৮,০০০ টাকার জাল নোটসহ চুনারুঘাটের ‘জামাল মিয়া’ গ্রেফতার বছর ঘুরে আইলো আবার ‘বৈশাখ’ জৈন্তাপুর প্রবাসী গ্রুপ কাতার শাখার ঈদ আনন্দ ভ্রমণ বিশারকান্দি ইউনিয়ন যুবদলের কমিটি গঠন আবুল কালাম আহবায়ক, ফিরোজ সদস্য সচিব ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে জুবায়ের আহমদ মনি তালুকদার ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী জুবের লস্কর
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের তদন্ত প্রতিবেদনের সময় ১০০ পার হয়ে যেতে পারে;-তপু।

SATYAJIT DAS / ৩১৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

সিলেট নিউজ ডেস্ক:

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পূর্ণ হলো গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারী। ২০১২ সালের এই দিনে (১১ ফেব্রুয়ারি) মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও তাঁর স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন। এই হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন। ১০ বছর পার হলেও এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত কাজ এখনও শেষ হয়নি। বিগত ১০ বছরে ৮৫ বার সময় নিয়েও আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে,মামলাটির তদন্ত শেষ হওয়ার বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে ফরেনসিক ও ডিএনএ রিপোর্টের ওপর। ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই দুই পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত শেষ হবে না তদন্ত। এতো বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত শেষ করা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তারা বিগত ১০ বছরে ৮৫ বার সময় নিয়েছেন তবু আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি।

আদালত সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ৮৫তম তারিখ ছিল। ওই তারিখেও অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি তার। তাই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী সময় ধার্য করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি।প্রসঙ্গত,২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার শিকার হন। ওই সময় বাসায় ছিল সাংবাদিক দম্পতির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। ঘটনার পর এ বিষয়ে একটি মামলা হয় ডিএমপির শের বাংলা থানায়। মামলার চার দিন পর তদন্ত ভার দেওয়া হয় ডিবিকে। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ডিবি তদন্তের ব্যর্থতা স্বীকার করলে আদালত র‍্যাবকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন। কিন্তু আজও হয়নি বিচার।

গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারী রোজ শুক্রবার সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের জট খুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ দাবি করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।

ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েও লাভ হচ্ছে না। আমরা আগেও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি,তাতেও কোনো কাজ হয়নি। তবে আমাদের দাবি ও স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী,প্রধান বিচারপতি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবারও দেবো। আমরা তাদের একটি ডেটলাইন দিতে বলবো,আসলে কত দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারবেন। তবে আমরা হতাশ হতে চাই না, একদিন সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাবো।’

শুধু সাগর-রুনির ক্ষেত্রে নয়,অন্য যেকোনো সাংবাদিকের ক্ষেত্রে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কথা বলে জানিয়ে সংগঠনটির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের যেসব সাংবাদিক সংগঠন আছে তারা আজকে অন্তত একটা কর্মসূচি দিতে পারতো। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রাণের তাগিদেই এই কর্মসূচি একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু সাগর-রুনির ক্ষেত্রে না,অন্য যেকোনো সাংবাদিকের ক্ষেত্রে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কথা বলে।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন,‘সাংবাদিক পেশার দুজন মানুষকে এক দশক আগে হত্যা করা হয়েছে। আদালত যদি এই বিচারের দিকে সুদৃষ্টি দেয় তবে সারাদেশের মানুষের প্রত্যাশার বিচার দ্রুত শেষ হবে।’

ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলাম খান তপু বলেন, ‘২০১২ সালের এই দিনে সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি খুন হন। ওই বছর আমাদের প্রতিবাদের বছর ছিল। সারাদেশে দলমত নির্বিশেষে যে ঐক্য গড়ে উঠেছিল সেটির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল এই ডিআরইউ। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সেই বিচার পাইনি। দফায় দফায় তদন্ত প্রতিবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে ৮৫ বার। হয়তো কয়েক দিন পরে সেটি ১০০ পার হয়ে যাবে। সেটি না করে দ্রুত আমরা বিচার চাই।’

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন হয়নি এই প্রশ্নের উত্তর রাষ্ট্রের কাছে চেয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুন বলেন, ‘সবাই বলেন অনুসন্ধানী সাংবাদিতা করার কথা। সেদিনও আমরা বলেছিলাম,যেই দুটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাগর ও রুনি কাজ করতেন,সেই দুটি চ্যানেলসহ আমরা সবাই এই হত্যাকাণ্ডকে নানাভাবে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করেছি। সাগর-রুনি হত্যা,মানিক সাহা,বালু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। কেন হয়নি?- এ প্রশ্নের জবাব রাষ্ট্রের কাছে চাই।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন