Categories
দুর্ঘটনা

বাবা- ভাইয়ের মৃত্যুর পর না ফেরার দেশে চলে গেল মেয়ে সামিরা

ওসমানীনগর প্রতিনিধিঃ

০৬ আগস্ট শনিবার সিলেটের আলোচিত ঘটনার প্রবাসী মৃত রফিকুল ইসলামের মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০) প্রায় ১২ দিন আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর অবশেষে রাত ১.২০ মিনিটে ইন্তেকাল করছেন, ওসমানী মেডিকেলের আইসিইউর কর্তব্যরত ডাক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।গত দুই দিন আগে মা হুসনেআরা বেগম ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কিন্তু মেয়ের আর হলনা ফেরা চলে গেলেন না ফেরার দেশে, আজ ময়না তদন্ত শেষে সামিরা ইসলামের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।

গত ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগর তাজপুরের একটি বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারের পাঁচজনকে উদ্ধার করেছিল ওসমানীনগর থানা পুলিশ পরে
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তাঁর ছেলে মাইকুল ইসলামকে (১৮) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
উদ্ধার অন্য তিনজন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীনে রাখা হয় এর মধ্যে হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তবে ছেলে সাদিকুল ইসলামের (২৫) জ্ঞান ফিরেছে।তাঁর মেয়ে সামিরা ইসলামের জ্ঞান ফেরেনি গুরুতর অবস্থা দেখে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

রফিকুল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার শরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তবে তিনি বেশ আগেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন। ১২ জুলাই রফিকুল স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে দেশে এসেছিলেন। পরে ১৮ জুলাই তিনি তাজপুরের চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালকের স্ত্রী ছিলেন।

তবে এই ঘটনায় এখনও কাওকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বলেছেন, আমরা মৃতদেহের শরিরে যে কেমিক্যাল এনালাইসিস এর জন্য পাটিয়েছি এখনও সেই রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর বুঝা যাবে কি কারণে ঘটনা ঘটেছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *