বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য,অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার সাদরুল আহমদ খানের উদ্যোগে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলমান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুলাউড়া রেলওয়ে ক্লাব মাঠে আলোকচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উক্ত আলোকচিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী ২৯ নং রোড শো’র সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া রেলওয়ে শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম। উপজেলার শতাধিক মানুষ এতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন ও আয়োজনকারীকে ধন্যবাদ জানান। পরে আনোয়ার পারভেজ জনি তালুকদার-এর পরিচালনায় রাত ১০ টায় উক্ত প্রদর্শনী শেষ হয়।
কুলাউড়া থানা আওয়ামীলীগের প্রয়াত আব্দুল লতিফ খান এর কনিষ্ঠ পুত্র বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য,সাবেক ডেপুটি সার্জেন্ট-এট আর্মস,জাতীয় সংসদ “স্কোয়াড্রন লীডার (অবঃ) সাদরুল আহমেদ খান বলেন,’ ১৯৪৭ সাল থেকে আজ অব্দি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনে ঘটে যাওয়া বিষয়াবলী নিয়ে এ ভিডিও চিত্র ও রোডশো।
১০ মিনিটের এই ভিডিওতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রযাত্রা ও প্রতিবন্ধকতার বিষয়গুলোও সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে এ বিষয়গুলো নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই রোডশো। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী চলছে,এটি ছিল ২৯ তম পর্ব এবং তা চলমান থাকবে।
তিনি বলেন,২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ দুটি শব্দে পুরো দেশকে মাত করেছিল-‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। বহুল ব্যবহৃত এই শব্দ যুগলের ব্যাখ্যা জনগণের ই-গভর্ন্যান্স নিশ্চিত করা। অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার।সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রে সেবা প্রদান এবং গ্রহণ উভয়ই হবে সহজলভ্য। জনবহুল গণতান্ত্রিক এ দেশে শিক্ষা,স্বাস্থ্য,আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি-বেসরকারি কাজকর্ম হবে ডিজিটাল পরিকাঠামোয়। সহজ হয়ে যাবে শিল্প-বাণিজ্যের রাস্তা। আর প্রত্যন্ত গ্রামের আমব্যক্তিটিও ডিজিটাল যোগসূত্রে সম্পর্ক গড়ে তুলবে বাকি পৃথিবীর সঙ্গে।
সেদিন আওয়ামী লীগের সেই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রেখেছিলেন এ দেশের দীর্ঘ সময় প্রযুক্তি বঞ্চিত মানুষগুলো। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা পুরো জাতি নিয়ে স্বপ্নের ডানা ভাসিয়ে দিলেও বাস্তব পরিস্থিতিটা কিন্তু ঘোরালো;তিনি জানতেন। তবে সেক্ষেত্রে তার বড় সাহস হয়ে উঠেছিলেন তারই পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। মূলত তিনিই মূল পরিকল্পনাকারী,নেপথ্য নায়ক।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন,‘জয় আমার কম্পিউটার শিক্ষক। তার কাছ থেকে আমি কম্পিউটার চালানো শিখেছি। অন্যদিকে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করতে জয়ের অনেক অবদান রয়েছে। যে কারণে আমি তার মা হিসাবে নিজেকে ধন্য মনে করি এবং গর্ববোধ করি।’
স্কোয়াড্রন লিডার সাদরুল আহমদ খান আরও বলেন,’একজন সজীব ওয়াজেদ জয় আধুনিক প্রযুক্তির বরপুত্র। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক। মাতামহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন। মাতা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছেন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। আর পূর্বসূরিদের স্বপ্নের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে জয় অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের সারথি হয়ে।
সজীব ওয়াজেদ জয় অসাধারণ উদ্ভাবনী চিন্তার অধিকারী। তিনি তরুণ সমাজকে তাদের দক্ষতার সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং প্রথাগত ছকের বাইরে গিয়ে সফলতা অর্জনের ব্যাপারে উৎসাহিত করে চলেছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাকে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডারস’দের একজন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়াও বহির্বিশ্বে তার গ্রহণযোগ্যতা দেশীয় যুবাদের অনুপ্রেরণা দেয়।
রাজনীতি/সিলেট নিউজ/এসডি.