বিশেষ প্রতিনিধি:
দীর্ঘ ছয় বছর কাজের পর ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের বহুল প্রত্যাশিত রাণীগঞ্জ সেতুর উদ্বোধন হলো। এটি সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম ও বৃহৎ সেতুটি জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী সোমবার (০৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় এ দৃষ্টি নন্দন সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন;-‘এক সাথে শত সেতুর উদ্বোধন এক যুগান্তকারী ঘটনা। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্তের সুচনা হলো। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। সর্বস্তরের জনগণ এর সুফল ভোগ করবেন। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে রানীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সেক্রেটারী নূর উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি,সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন,সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোশারফ হোসেন,সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দীন আহম্মেদ,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।
জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, সওজের নির্বাাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সাজেদুল ইসলাম,বিভিন্ন বিভাগের সরকারী ককর্মকতা,জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সাংবাদিকসহ এলাকার সর্বস্তরের হাজারও মানুষ উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনা ও শিল্পীদের কন্ঠে বাউল আব্দুল করিমের রচিত গান ভার্চুয়ালি উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য যে,২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি বর্তমান সেতু ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান যৌথ ভাবে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। নির্মাণকাজের সময়সীমা ৩ বছর ও ১২৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে ব্যয় এবং সময় বাড়ানো হয়। ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭০২ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের এই সেতু সোমবার থেকে চালু হওয়ায় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব প্রায় ৫২ কিলোমিটার কমে যাবে।
১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতু ও আড়াই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং টোল প্লাজা নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ২৪ ব্যুরো কোম্পানি লিমিটেড ও এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী ৭০২ দশমিক ৩২ মিটার দীর্ঘ এবং ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থ সেতুটির নির্মাণকাজ ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দীর্ঘ ছয় বছর পর সেতুর কাজ সম্পূর্ণ হলো।
জাতীয়/সিলেট নিউজ/এসডি.