আল-মামুন খান, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অসহায় দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন মানবতার ফেরিওয়ালা ছাদেকুর রহমান রতন।
প্রচন্ড শীতে কাঁপছে দেশের সাধারণ মানুষ। খাবারের তাগিদে তীব্র শীতের মাঝেও রোজ বেড় হতে হয় ঘর থেকে। অসহায়, গরীব খেটে খাওয়া মানুষকে যেন দেখার কেউ নেই। মফস্বল এলাকায় দেখা যায় এসব খেটে খাওয়া মানুষদের কারো পড়নে নামে মাত্র সেন্টুগেঞ্জি, কারও পড়নে টি-শার্ট। গামছা কাঁধে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে কাজের সন্ধানে। এসব মানুষের বাড়ি বাড়ি, দুয়ারে দুয়ারে দেখা যায় একজন মানবতার ফেরিওয়ালাকে। এই মানবতার ফেরিওয়ালার পথ চেয়ে বসে থাকে অনেক সুবিধা বঞ্চিত মানুষ। কখন দেখা মিলবে তার, চেয়ে নিবে শীত নিবারনের শীতবস্ত্র। তিনি কে? এমন প্রশ্নের জবাবে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা তাড়াইল অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি, ছড়াকার, গবেষক ছাদেকুর রহমান রতন। বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতায় এসব শীতবস্ত্র নিয়ে হাজির হচ্ছেন দুঃখী মানুষের সামনে। নিজের হাতে পড়িয়ে দিচ্ছেন কারো গায়ে শীতের জ্যাকেট, কারো গায়ে সুঁয়েটার আবার কারো কারো দিচ্ছেন কম্বল। আর এসব শীতবস্ত্র পেয়ে খুশিতে আত্মহারা গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া এবং দুঃস্থ অসহায় মানুষ। তীব্র শীতের মাঝেও সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের এ যেন এক ঈদ আনন্দ।
এ বিষয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা ছাদেকুর রহমান রতন বলেন, তাড়াইল উপজেলা সদরসহ জাওয়ার, ধলা, দিগদাইড় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মানবতার মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে নিজ হাতে অসহায় শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র দিতে পেরে আমি আত্মতৃপ্তি পাচ্ছি। করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাড়াইল উপজেলাসহ অন্য উপজেলার পার্শ্ববর্তী দারিদ্র এলাকা সমুহে খাদ্য-সামগ্রী বিতরণের সময় নিজের চোখে অসহায় মানুষের চিত্র দেখতে পেয়েছি। সুবিধা বঞ্চিত মানুষ কত কষ্ট করে দিনানিপাত করছে আমি তা উপলব্ধি করেছি। এই কষ্ট দেখে আমি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর কাজ করে যাচ্ছি। আমার এ চেষ্ঠা অব্যহত থাকবে।
শীতের মাঝে ঘুরে ঘুরে কাজ করে আপনার কষ্ট হয় না? জিজ্ঞাসা করলে তিনি হাসি মুখে বলেন, তীব্র শীতের মাঝে এলাকায় ঘুরলে কষ্ট তো হবেই কিন্তু এসব মানুষের মুখে হাসি দেখলে নিজেরকষ্ট ভুলে যাই। সেই সাথে তিনি এলাকার বিত্তবান শ্রেণীর মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।