শিরোনাম
লন্ডনে আল্লামা দুবাগী ছাহেব কিবলাহ (রহ.)’র ৪র্থ বার্ষিক ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ও কর্মী সমাবেশ দোয়ারাবাজারে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার নিশিতার মসলা ক্রয় করে পুরস্কার পেলেন জগন্নাথপুর থানার সৌভাগ্যবান কৃষক জগন্নাথপুরে মোবাইল কোর্টের অভিযানে জব্দ অবৈধ কারেন্ট,বের জাল পুড়িয়ে ধ্বংস কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রতিপক্ষের হামলায় ২৯৭ জন হাসপাতালে কাউন্সিলর নিপু আবারও কারাগারে কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত সাংবাদিকের উপর হামলা, মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মিরপুরে মানববন্ধন ঘাটাইল শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে প্রতিনিয়ত চলছে দুর্নীতি
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

তাড়াইলে সিসা তৈরির অবৈধ কারখানা, হুমকিতে পরিবেশ

Coder Boss / ১০১ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩

মোঃ রাজু শিকদার তাড়াইল(কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে একটি অবৈধ কারখানায় ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হচ্ছে। উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়ন হিজলজানী এলাকায় কারখানাটির অবস্থান। এই জায়গাটি ভ্রমণ পিপাসুদের খুবই পছন্দ। বিশেষ করে বর্ষাকালে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এখানে। এলাকায় মিনি কক্সবাজার খ্যাত এই পর্যটন স্থানটি আজ হুমকির মুখে। এই কারখানার কারণে ব্যাটারির অ্যাসিডের প্রকট গন্ধে স্থানীয় লোকজন অতিষ্ঠ। কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর ও বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি উপজেলার মেছগাও গ্রামে বেশ কয়েকটি দুগ্ধ গাভী মারা যায়।

কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইত তাহরীম সৌরভ বলেন, এটা মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর, যা ধীরে ধীরে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করব।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমাস হোসেন বলেন, ব্যাটারির বর্জ্য পুড়িয়ে সিসা তৈরি করলে তা আশপাশে থাকা মানুষের শরীরে পয়জনিং (রক্তকণিকা ও মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি করা) সৃষ্টি করে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হতে পারে।

কারখানাটির পাশেই দৈনিক বাজার ও বসতবাড়ি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কারখানা–সংলগ্ন রয়েছে বেশ কয়েকটি বসত ঘর যারা সিসার বিষাক্ত ধোয়ার কারনে রাতে ঘুমাতে পারছে না।

বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, কারখানার ভেতরে শ্রমিকেরা কাজ করছেন। কেউ পুরোনো ব্যাটারির ওপরের অংশ খুলে প্লেট (ব্যাটারির ভেতর থাকা পাত) বের করছেন। কেউ ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড বের করে সংরক্ষণ করছেন। শ্রমিক বেলাল জানান, চুল্লির মধ্যে কাঠ ও কয়লায় অ্যাসিড মিশ্রিত ব্যাটারির বর্জ্য বা প্লেট সাজানো হয়। এরপর আগুন ধরিয়ে দিলে তা গলতে থাকে। একই সঙ্গে বৈদ্যুতিক পাখা থেকে বাতাস দেওয়া হয়। এভাবে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সিসা তৈরি হয়। পুরোনো ব্যাটারি থেকে প্লেট খুলে তিনি টনপ্রতি ৫০০ টাকা মজুরি পান। এই কাজ করতে তাঁর কোনো সমস্যা হয় না।

কারখানার ব্যবস্থাপক জানান, এক রাতে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ কেজি সিসা হয়। এ জন্য প্রায় দেড় টন ব্যাটারির প্লেট লাগে। ব্যাটারির ওপরের অংশ প্লাস্টিক দ্রব্য তৈরিতে কাজে লাগে, যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন তাঁরা। উৎপাদিত সিসা তাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন চায়না ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করেন।

শ্রমিকরা জানান এ কারখানার মালিক তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক ভূইয়া মোতাহার, তবে আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক ভূইয়া মোতাহার এ কারখানার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন।

তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা শারমিন বলেন, আমাকে কিছুদিন পূর্বে কয়েকজন সাংবাদিক জানিয়েছিল এখানে একটি সিসা কারখানা চলছে। সে প্রেক্ষিতে তাদের সতর্ক করা হয়েছিল। তারা আমাকে নিশ্চিত করে যে এখানে কাজ করবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

বিভাগের খবর দেখুন