শিরোনাম
লন্ডনে আল্লামা দুবাগী ছাহেব কিবলাহ (রহ.)’র ৪র্থ বার্ষিক ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ও কর্মী সমাবেশ দোয়ারাবাজারে কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার নিশিতার মসলা ক্রয় করে পুরস্কার পেলেন জগন্নাথপুর থানার সৌভাগ্যবান কৃষক জগন্নাথপুরে মোবাইল কোর্টের অভিযানে জব্দ অবৈধ কারেন্ট,বের জাল পুড়িয়ে ধ্বংস কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রতিপক্ষের হামলায় ২৯৭ জন হাসপাতালে কাউন্সিলর নিপু আবারও কারাগারে কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত সাংবাদিকের উপর হামলা, মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মিরপুরে মানববন্ধন ঘাটাইল শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে প্রতিনিয়ত চলছে দুর্নীতি
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
Notice :
Wellcome to our website...

কৃষককে আর সারের পেছনে ছুটতে হবে না–প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Coder Boss / ২১৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আজহারুল ইসলাম জনি, গাজীপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার সময় শেখ হাসিনা গাজীপুরে পৌঁছান। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ব্রি’র কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সামনে বঙ্গবন্ধু-পিয়েরে ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি ব্রি’র গৌরব ও সাফল্যের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেলুন ও পায়রা উড়ান। এরপর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্রি’র ইনোভেশনস পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ব্রি’র কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে, প্রতিষ্ঠানটির ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিবান্ধব নীতির কারণেই বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, কৃষককে আর সারের পেছনে ছুটতে হবে না। সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। সেই ব্যবস্থাই আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর নিয়েছে।

‘আপনারা জানেন এই বাংলাদেশে সার চাইতে গিয়ে কৃষককে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। ১৮ জন কৃষককে বিএনপি সরকার গুলি করে মেরেছিল। তাদের অপরাধ কী! তারা সার চেয়েছিল। তখন থেকেই প্রতিজ্ঞা ছিল কৃষককে আর সারের পেছনে ছুটতে হবে না, সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে।’

খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও আমরা তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি।
বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্যশস্যের ফলন বাড়াতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষিবিদদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, আমাদের নিজেদের খাদ্যশস্য উৎপাদন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতেও বাংলাদেশকে ঐতিহ্যগত শস্যের পাশাপাশি নতুন জাতের শস্য উৎপাদন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ শুধু খাদ্যশস্য উৎপাদনেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেনি, বরং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য কৃষিপণ্যও উৎপাদন করে যাচ্ছে। আমাদের দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুদ্ধে প্রবেশ করতে যাচ্ছে, তাই সরকার দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে, আমরা ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিকস, ইন্টারনেট ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনেছি। আমাদের এই প্রযুক্তিগুলো কাজেও লাগাতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে স্বনির্ভর করে এবং বছরে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি মিটিয়ে খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। এরপর বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ পুনরায় খাদ্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেই দেশে ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি পায়। আওয়ামী লীগ সরকার এ অবস্থা মোকাবিলায় কৃষি গবেষণা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং কৃষকদের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বীজ-সার বিতরণ করে এবং সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়। এই উদ্যোগের ফলে আমরা খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে সামনে এগিয়ে যাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় কৃষি উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে। এ পর্যন্ত ১১১ ধরনের ধানের আধুনিক জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে ১০৪টি ইনব্রিড এবং সাতটি হাইব্রিড। এর মধ্যে ২৪টি বিভিন্ন প্রতিকূলতা সহিঞ্চু জাত রয়েছে। যার ১০টি লবণাক্ততা সহিঞ্চু, তিনিটি ডুবে যাওয়া সহিঞ্চু, তিনটি খরা সহিঞ্চু, চারটি শীত সহিঞ্চু, দুটি জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যাওয়া সহিঞ্চু, একটি আধা গভীর জল এবং দ্বৈত সহিঞ্চু।
এ ছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ১৩টি প্রিমিয়াম মানের, পাঁচটি জেডএন সমৃদ্ধ ও তিনটি নিম্ন জিআই মানের (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে। দেশের মোট ধানি জমির ৮০ শতাংশেরও বেশি ব্রি ধানের চাষ করা হচ্ছে। জাতীয় ধান উৎপাদনে এর অবদান প্রায় ৯১ শতাংশ।’

‘দেশে একটি মাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। এর মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে কৃষি শিক্ষার জন্য। বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে, সরকার কৃষি গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পাশাপাশি সরকার স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং বিজ্ঞান গবেষণায়ও দৃষ্টি দিয়েছে।’

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পাঁচটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উক্ত অনুষ্টানে কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ব্রি-র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ‘ব্রি-র ৫০ বছরের গর্ব ও সাফল্য’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জিন বালি, গ্লোবাল ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ড. স্টেভিন ওয়েব বক্তব্য রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

Registration Form

[user_registration_form id=”154″]

পুরাতন সংবাদ দেখুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮  

বিভাগের খবর দেখুন