ছাতক প্রতিনিধি:
ছাতকে নাইন্দার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।অপরিকল্পিত ফসল রক্ষা বাঁধ এখন কৃষকদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ২৮ নং পিআইসি মির্জার খালের বাঁধের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই হাওরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।এতে কয়েক হাজার একর জমির বোরো ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। শংকিত হয়ে পড়েছেন হাওর পাড়ের সহস্রাধিক কৃষক।
দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা অনুযায়ি মির্জার খালের বাঁধ সংস্কার না হলে হাওরের ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।ডোবার পানিতে দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছে নাইন্দার হাওরের বোরো ফসল। সাবেক ইউ পি সদস্য মনির উদ্দিনসহ এলাকার কৃষকরা জানান মির্জার খাল দিয়ে হাওর সহ আশ-পাশ এলাকায় জমে যাওয়া বৃষ্টির পানি সুরমা নদীতে পড়ে।
প্রতিবছর পানি উন্নয়ণ বোর্ডের আওতায় মির্জার খালে পরিকল্পনা অনুযায়ি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়ে থাকে। বৃষ্টির পানি নিস্কাশনের জন্য দু’পাশে বাঁশের খুঁটি দিয়ে ব্যারিকেড করে ছোট একটি নালা রেখে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বন্যা না আসা পর্যন্ত নালাটি উন্মুক্ত থাকে। এদিকে পিআইসি’র মাধ্যমে এক হাজারের মতো বস্তায় মাটি ভর্তি করে খালের দু’পাশে রাখা হয়। সুরমা নদী থেকে খাল দিয়ে বন্যার পানি হাওরের দিকে প্রবাহিত হলে মাটি ভর্তি বস্তা দিয়ে তাৎক্ষনিক নালা ভরাট করা হয়। প্রায় ২০ বছর ধরে পানি উন্নয়ণ বোর্ড ও পিআইসি সমন্বয়ে এ পদ্ধতিতে মির্জার খালে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে এর ব্যতিক্রম করে নালা না রেখে বাঁধ নির্মাণ করায় বন্যার আগেই ডুবরার (জলাবদ্ধতায়) পানিতে হাওরের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে হাওরের ফসল রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হাওর এলাকার মনির উদ্দিন,ফারুক মিয়া,শাহাব উদ্দিন, ফারুক খান, হরুফ আলী,মতলিব আলীসহ তিন শতাধিক কৃষক স্বাক্ষরিত এক আবেদন গত ২২ মার্চ সুনামগঞ্জ জেলা প্রসাশক বরাবরে দেয়া হয়েছে।২৩ মার্চ ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অনুরূপ আবেদন করেছেন কৃষকরা। আবেদনের কপি পানি উন্নয়ণ বোর্ড সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবরে ও দেয়া হয়েছে। কৃষকদের দাবি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে হাওরের ফসল রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ। অন্যতায় হাওরের বোরো ফসল ডোবার পানিতে তলিয়ে যাবে। কিন্তু অদ্যাবধি এ হাওরের ফসল রক্ষায় কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি।##