রিপন মিয়া মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসা সরালি, বক,শালিক,ডুফি,অন্যান্য পাখি। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরপারের কাশিমপুর বাজারে
বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসা সরালি, বকসহ অন্যান্য পাখি। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরপারের কাশিমপুর বাজারেছবি:
এখনো শীত খুব একটা নামেনি। হাওরে পরিযায়ী পাখিদের আসা শুরু হয়নি। তবু দলছুটের মতো যে পাখিরা আসছে, সেই চেনা-অচেনা, বিপন্ন এবং স্থানীয় আবাসিক পাখিরা শিকারির জালে ধরা পড়ছে। হাওরপারের পথে ও হাটে এই পাখিদের প্রকাশ্যে বেচাকেনা চলছে। মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওর, সরকার বাজার, গোরারাই বাজার বিভিন্ন পথে ও হাটে এ রকম পাখি কেনাবেচা হতে দেখা গেছে। হাটেই পাখি জবাই করে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কোনো কোনো ক্রেতা।
শুক্রবারের সকাল ছিল কুয়াশায় ঢাকা। মৌলভীবাজারের চাঁদনীঘাট-হলদিগুল সড়ক ধরে যাওয়ার সময় হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছিল। ওই সড়কের কাউয়াদীঘি হাওরপারের চানপুর এলাকায় দেখা মিলল দুই ব্যক্তির। তাঁরা হাওর থেকে কিছুক্ষণ আগে ফিরেছেন। একজনের হাতে জাল ও মাছের কাকরাইন (ঝুড়ি)। অন্যজনের হাতে বকের মতো দেখতে খয়েরি-ধূসর রঙের একটি বড় আকারের পাখি ঝুলছিল। তখন সকাল পৌনে সাতটা। গাড়ি থেকে নামতেই তাঁরা জানতে চাইলেন, পাখি কিনব কি না। তিনি নিজে থেকেই দাম চাইলেন ১ হাজার ২০০ টাকা। তিনি জানালেন, আগের রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) মাছের জালে পাখিটি আটকা পড়েছে। সচরাচর এই পাখি দেখা যায় না। তাঁকে পাখিটি ছাড়া যায় কি না বললে তিনি সরাসরি বলেন, ‘পাখি কেউ ছাড়ার জন্য ধরে নাকি, খাওয়ার জন্যই ধরে।’ এরপর তিনি সামনের দিকে হাঁটতে থাকেন।