সিলেট: জৈন্তাপুর উপজেলার লালাখাল আফিফানগর চা-বাগানের ভূমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি মহলের বিরুদ্ধে।
চা-বাগানের জায়গা দখলকারীদের বিরুদ্ধে বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ জাফর ইউসুফ জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানাগেছে, লালাখাল আফিফানগর চা-বাগানের লীজের অন্তর্ভূক্ত তুমরপুঞ্জি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকার সেকশন, ৬ নং ৮ নং এলাকার মধ্যবর্তী টিলায় অন্তত ৭ একর জায়গা দখল করার উদ্দ্যশ্যে রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে বৃক্ষের চারা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। চলিত বছরের গত ১ লা ফেব্রুয়ারি তুমরপুঞ্জি চা-বাগানের টিলায় আগুন লাগানো হয়েছিল।
বাগানের চা-পাতা উৎপাদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে পাহাড়ের উপর ভাগে সংরক্ষিত বনভূমি থাকা বাধ্যতা মুলক। স্থানীয় একটি মহল এই সুযোগে রাতে সংরক্ষিত বনভূমি’তে আগুন লাগিয়ে বাগানের লীজের অন্তর্ভূক্ত ভূমি দখলের অপচেষ্টা চালান।
সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, আফিফানগর চা-বাগানের পাহাড়-টিলার সমতল অংশে চা-পাতা উৎপাদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বাগান কর্তৃপক্ষ সমতল অংশে চা-পাতার গাছ লাগিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পর্যায়েক্রমে জঙ্গল পরিস্কার করে চা-পাতা গাছ রোপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সরকারি বিধান মতে সংরক্ষিত বন অঞ্চল হিসাবে পাহাড়ের উপর অংশে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষের চারা গাছ রোপন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় একটি মহল চা-বাগানের ভূমি দখলের চেষ্টায় জড়িত রয়েছেন। এছাড়া বিগত ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর উত্তর বাগছড়া ও তেলাঞ্জি এলাকায় চা-বাগানের লীজভূক্ত ভূমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছিল।
এই বিষয়ে আফিফানগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক সৈয়দ জাফর ইউসুফ বলেন, তুমরপুঞ্জি এলাকায় লালাখাল চা-বাগানের লীজভূক্ত প্রায় ৭শত একর ভূমি রয়েছে। এসব জায়গায় চা-গাছ রোপন প্রক্রিয়া চলমান আছে। বিভিন্ন সময়ে বনভূমি ধ্বংশ করে একটি মহল আগুন দিয়ে বাগান জ্বালিয়ে ভূমি দখলের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি সময়ে তুমরপুঞ্জি এলাকায় অন্তত ৭ একর জায়গা আগুনে পুড়িয়ে বনভূমি ধ্বংশ করে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় জৈন্তাপুর মডেল থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।