নিজস্ব প্রতিবেদক:
আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়িটি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি,এটা স্বীকৃত। বাড়ি নিয়ে করা রিটের বুধবার (১৩ মার্চ) রায় ঘোষণার দিনে উভয় পক্ষের সম্পূরক শুনানির একপর্যায়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীদের উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন,‘দুদকসহ অন্যান্য সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে এটা প্রমাণিত যে,সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদী পেলেন, কীভাবে তার কাছে হস্তান্তর হলো,এটা আমাদের দেখাতে হবে।’এরপর সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বাড়ি নিয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান,রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ এবং সালাম মুর্শেদীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।
গত ৩ মার্চ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে শুনানি শেষ হয়। এরপর দুই দফা রায় ঘোষণার দিন ধার্য হলেও সালাম মুর্শেদীর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানিতে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন,‘রাজউকের ও দুদকের হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে। গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন,সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না।’
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন,‘মানুষ অপহরণের মতো সালাম মুর্শেদী গুলশানের বাড়ি অপহরণ করে বাস করছেন। এই বাড়িতে তিনি প্রতি সেকেন্ড অবৈধভাবে বাস করছেন।’
এ-সময় হাইকোর্ট রাজউকের আইনজীবীকে প্রশ্ন রেখে বলেন,‘সেটেলমেন্ট কোর্টের অর্ডার ছাড়া এই সম্পত্তি কীভাবে সালাম মুর্শেদীর কাছে হস্তান্তর করা হলো।’
গত ১৭ জানুয়ারি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে দুদককে অনুসন্ধান প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তার আগে সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশানের বাড়ি নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উল্লেখ্য,আব্দুস সালাম মুর্শেদী একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ,উদ্যোক্তা এবং সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং সাবেক ফুটবলার এনভোয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন এবং তিনি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য।
সিলেট নিউজ২৪/এসডি.